ঢাকাবুধবার , ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যা; বিচারের দাবিতে বাবার সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক
Kolom 24
ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩ ৩:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মধুনগর এলাকার গৃহবধূ উর্মি আক্তার হত্যার বিচার ও মামলা রেকর্ডভূক্ত (এফআইআর) করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শহরের জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধূ উর্মি আক্তারের বাবা অষ্টগ্রাম উপজেলার খান ঠাকুর দিঘীরপাড় গ্রামের কৃষক মো. সিজিল মিয়া বলেন, ২০১৫ সালে পারিবারিকভাবে আমার মেয়ে উর্মির বিয়ে হয় কিশোরগঞ্জের যশোদল মধ্যনগর এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে জিল্লুর রহমানের সাথে। বিয়ের ২ বছর পর তাদের ঘরে ইভা নামের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য উর্মিকে নির্যাতন করতো জিল্লুর ও তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতনের কথা উর্মি আমাদের জানালে ব্যবসার জন্য জমি বিক্রি করে ৪ লাখ টাকা দেই। এরপর উর্মির ওপর কিছুদিন নির্যাতন বন্ধ ছিল।

তিনি বলেন, জিল্লুর রহমান জুয়া খেলে ও নেশা করে জমি বিক্রি করে দেয়া ৪ লাখ টাকা নষ্ট করে ফেলে। কিছুদিন আগে আবার টাকা আনার জন্য উর্মিকে চাপ দেয় জিল্লুর। তখন উর্মি টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে আবারও তাকে জিল্লুর ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করা শুরু করে। পরে নির্যাতনের কথা আমাদের জানায়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) উর্মিকে হত্যা করে নিজ বসত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে দেয় তারা।

তিনি আরও বলেন, মূলত টাকার জন্যই স্বামী জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে উর্মিকে হত্যা করে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করলে জিল্লুর ও তার বাবা মতিউর রহমান, মা সাহেরা খাতুন, ছোট ভাই আফজল, চাচতো ভাই তামিম বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল কেন? ঘটনার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় আমার মেয়ে হত্যার মামলা রেকর্ড হয়নি। আমি আমার মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, পুলিশের সুরতহাল ও চিকিৎসকের তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গৃহবধূ উর্মি আক্তারের খালু মোসাদ্দেক হোসেন সোহেল, গৃহবধূ উর্মি আক্তারের ভাই আল মোফাচ্ছর তন্ময়, শেখ সালমান, তিতাস চন্দ দাস, অমিত দাস প্রমুখ।

Comments

comments