কিশোরগঞ্জে খাদ্য গুদামে ওএমএস চালের ১২ টি চালানে ১১ লাখ টাকা তছরূপের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক) কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের পাঁচ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১ জুন থেকে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় হতে মোট ২৩ টি চালানের বিপরীতে খাদ্য গুদাম থেকে বিভিন্ন ডিলারদের চাল সংগ্রহের জন্য ডেলিভারি অর্ডার প্রদান করা হয়। চালানসমূহের বিপরীতে সরকারি কোষাগারে কোন অর্থ জমা না হওয়া সত্ত্বেও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত ডেলিভারি অর্ডারের মাধ্যমে ডিলাররা খাদ্য গুদাম হতে চাল সংগ্রহ করেন এবং ওএমএস এর মাধ্যমে তা খোলাবাজারে বিক্রয় করেন। এদিকে সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমান বরিশাল জেলার আগৈলঝড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বদলি হয়ে যোগদান করেন।
সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রাদি পর্যালোচনা করে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম দেখতে পায় যে দীর্ঘদিন পর চালানসমূহের মধ্যে কিছু চালানের বিপরীতে তছরূপকৃত অর্থ বিভিন্নভাবে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়। তবে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনাকালীন জানতে পারে সরকারি কোষাগারে ১টি চালানের অর্থ এখনো জমা পড়েনি। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তছরুপের প্রাথমিক সত্যতা পায়।
দুদকের উপপরিচালক মোঃ সালাহউদ্দিন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট টিম সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমানের (বর্তমানে বরিশাল জেলার আগৈলঝড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে রয়েছেন) বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করবে।
Comments
comments