ঢাকারবিবার , ১২ মার্চ ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক, ঝুঁকিতে স্বাস্থ্য

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ১২, ২০২৩ ৩:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জ জেলার প্রায় ৬ শতাংশ নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এসব নলকূপের পানি পানে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার মানুষ।

জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ৫৫ হাজারটি নলকূপের পানি পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ হাজার নলকূপে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, কুলিয়ারচর উপজেলার ১৮ হাজার নলকূপের পানি পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়ার সংখ্যা ২ হাজার ৭০০টি, যা জেলার অন্য উপজেলাগুলোর তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। জেলায় ৭-৮ লাখ গভীর-অগভীর নলকূপ রয়েছে।

বিভিন্ন শহর ও গ্রামে দেখা গেছে, বহু মানুষ পরীক্ষা ছাড়াই পানি পান করছেন। এমনকি লাল দাগ দেওয়া পানিতে আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও অনেকে পানি পান করছেন। অতীতে আর্সেনিকমুক্ত নলকূপ সরকারি-বেসরকারি তৎপরতা দেখা গেলেও অভিযোগ রয়েছে গত কয়েক বছরে সেটি অনেকটাই স্তিমিত। আর্সেনিক আক্রান্ত নলকূপ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করার কথা থাকলেও অনেকে বলছেন এ ধরনের কার্যক্রম নেই। তবে জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, আর্সেনিক সংশ্লিষ্ট কোনো কার্যক্রমেই ভাটা পড়েনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের কয়েকজন ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের কয়েকজন মাঠকর্মী বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমে রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষ এখনো প্রায় ৬ শতাংশ নলকূপের আর্সেনিকমুক্ত ও আর্সেনিকযুক্ত নলকূপ চিনতে পারেন না।

সচেতন কিশোরগঞ্জ ফোরামের সদস্য সচিব খাইরুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃপক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহেলার কারণে পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই কিশোরগঞ্জের ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ মানুষ অজান্তেই আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করছে। এর একমাত্র কারণ মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীরা আর্সেনিকের পরীক্ষা না করেই অফিসে বসে মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রেরণ করা।

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিভার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ আবিদুর রহমান ভূঞা বলেন, দীর্ঘসময় ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি খেলে জ্বর, বমি (রক্ত বমি), মাথাব্যথা, পেটেব্যথা, শরীরে অস্বাভাবিক ব্যথা, রক্ত আমাশয় এবং ডায়রিয়া হতে পারে। গায়ে কালো কালো দাগ দেখা স্থাপনে দেয়। হাত ও পায়ের তালু শক্ত খসখসে হয়ে যায় এবং ছোট ছোট শক্ত শুঁটির মতো দেখা দিতে পারে, যা পরে কালো হয়ে যায়। গায়ের চামড়া মোটা ও খসখসে হয়ে যায়। কিডনি ও লিভার অকেজো হয়ে যেতে পারে।

জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্পের আওতায় আর্সেনিক স্ক্রিনিং কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া। প্রকল্প থেকে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত নলকূপগুলোয় লাল দাগ দেওয়া হয়েছে।

Comments

comments