কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ধারের টাকা সুদসহ পরিশোধের পরও এক ব্যক্তিকে পুলিশ দিয়ে থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর সাদা কাগজে সই নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন পান্নু গত মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, অভিযোগ সত্য নয়।
অভিযুক্তরা হলেন করিমগঞ্জের গুনধর ইউনিয়নের মদন গ্রামের জুনায়েদ কবির, মাইন উদ্দিন, সজীব মিয়া, সোহেল ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম ও করিমগঞ্জ থানার এসআই মাজহার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন পান্নুর বাড়ি গুনধর গ্রামে। দুই বছর আগে করোনার সময়ে জুনায়েদ কবিরের কাছে ব্যাংকের একটি অলিখিত চেক জমা দিয়ে সুদে আট লাখ টাকা নেন তিনি। করোনা সংকট কেটে গেলে তিনি সুদসহ পুরো টাকা জুনায়েদকে ফেরত দেন। পরে পান্নু তাঁর দেওয়া চেকটি ফেরত চাইলে জুনায়েদ খুঁজে না পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, পাওয়া গেলে চেকটি ফেরত দেবেন। কিন্তু ২ ফেব্রুয়ারি জুনায়েদের স্বাক্ষরিত একটি আইনি নোটিশ পান পান্নু। তিনি জুনায়েদের কাছে চেক ফেরত চাইলে টালবাহানা শুরু করেন ও হুমকি দেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি দাবি করছেন। রাতে পান্নুকে তাঁর বাড়ির সামনে থেকে জুনায়েদ কবির, মাইন উদ্দিন, সজীব মিয়া, সোহেল ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, এসআই মাজহারসহ আরও দুই-তিনজন জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে করিমগঞ্জ থানায় নিয়ে যান। সেখানে পানুকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তাঁরা। একপর্যায়ে পান্নুর স্বজনেরা বিষয়টি জেনে থানায় যান। তখন জুনায়েদ ও মাজহার জোর করে পান্নু এবং তাঁর স্বজনদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেন।
পান্নু বলেন, “থানায় নিয়ে আমাকে নির্যাতন এবং সাদা কাগজে আমার ও স্বজনদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। কিছুদিন পর করিমগঞ্জ থানার এসআই নেওয়া হবে।” মাজহারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের স্বাক্ষর করা সাদা কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ওপরের নির্দেশ আছে। সাদা কাগজের বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। কিছু দেখানোও যাবে না।” আমি এখন ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি।” তিনি বলেন, সুদসহ পুরো টাকা পরিশোধ করার পরও জুনায়েদ কয়েক গুণ টাকা
অভিযোগের বিষয়ে জুনায়েদ কবির বলেন, “পান্নুর কাছে ৬৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাই। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিজওনারের মামলা করেছি। উকিল নোটিশও পাঠানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, জোর করে স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। পান্নুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম থানায়। তাই তাঁকে পুলিশ নিয়ে গেছে।’
করিমগঞ্জ থানার এসআই মাজহার বলেন, ‘এটা সত্য নয়। আর এ বিষয়ে তথ্য দিতে আমি বাধ্য না।”
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘এমন একটি অভিযোগ আমাদের হাতে এসেছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান ও তদন্তের দায়িত্ব দেব। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা
Comments
comments