ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ মার্চ ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিল আলিফের মরদেহ

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ৩০, ২০২৩ ৫:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে মাটির নিচে পুতে রাখা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের উলুহাটির বন্দের গাউসুল আজম গোরস্থানের বরাদ্দকৃত জায়গা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এদিকে ১০ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া সোহান আহমেদ আলিফের (২৩) পরিবার সনাক্ত করেছে মরদেহটি তার ছেলের। নিহত সোহান আহমেদ আলিফ (২৩) রশিদাবাদ ইউনিয়নের বেরুয়াইল (কলাপাড়) গ্রামের প্রবাসী শফিকুল আহমেদ বাচ্চুর ছেলে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২০ মার্চ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের বেরুয়াইল (কলাপাড়া) গ্রামের প্রবাসী শফিকুল আহমেদ বাচ্চুর ছেলে সোহান আহমেদ আলিফ (২৩) নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) তার মা হাওয়া আক্তার সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে মুষলধারে বৃষ্টি হয় কিশোরগঞ্জে। বৃষ্টিতে রশিদাবাদ ইউনিয়নের উলুহাটির বন্দের গাউছুল আজম গোরস্তানের বরাদ্দকৃত জায়গায় মাটির ডিবির এক পাশের মাটি সরে গেলে ওই স্থানে কাক ও শিয়ালের বিচরণ দেখে এলাকার লোকজন সেখানে ছুটে যায়। লোকজন সেখানে মাটিতে পুতে রাখা লাশের অংশ বিশেষ দেখতে পায়। স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের নির্দেশে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডোম সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে মাটি খুড়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ সদস্যরা। পরে নিখোঁজ হওয়া আলিফের মা হাওয়া আক্তার এসে পুরাতন জিন্সের কালো প্যান্ট ও কোমড়ে কালো রংয়ের বেল্ট দেখে নিশ্চিত হন এই মরদেহ তার ছেলে আলিফের।

মোছাঃ হাওয়া আক্তার বলেন, আমার বড় ছেলে আলিফ বেরুয়াইল কলাপাড়া এলাকার হাইয়ুলের দর্জির দোকানে কাজ করত। আমার ছেলেকে ২০ মার্চ থেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ২৮ মার্চ কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করি। আজ আমার ছেলের লাশ পেলাম। আমার ছেলেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দোকান থেকে মোঃ অন্তর (১৯), মাসুদ (২৪), হুমায়ুন (৩৪), মকুল (২০), আনন্দসহ (১৯) অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন ডেকে নিয়ে যে কোন স্থানে হত্যা করে। তারা আমার ছেলের লাশ গুম করার জন্য উলুহাটির বন্দে গাউসুল আযম গোরস্থানের জন্য বরাদ্দকৃত জমির ভিটায় মাটি খুঁড়ে পুতে রাখে। আমার বুকটা খালি কইরা দিল ওরা। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।

রশিদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন এখানে মাটিতে পুতে রাখা একটি লাশ পাওয়া গেছে। উলুহাটির বন্দে গিয়ে দেখি বৃষ্টির কারণে সরে যাওয়া মাটিতে একটি হাড় দেখা যাচ্ছে। পরে পুলিশ এসে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডোম সাহাবুদ্দিনকে দিয়ে মাটি খুড়ে মরদেহটি বের করলে নিহত যুবকের মা হাওয়া আক্তার মরদেহ দেখে তার ছেলে আলিফের বলে শনাক্ত করেছেন।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, মরদেহটি কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। মোছাঃ হাওয়া আক্তার মরদেহটি তার ছেলের বলে সনাক্ত করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) হাওয়া আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ ও ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে এজহারনামীয় আসামি হুমায়ুন ও আনন্দকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আসামি হুমায়ুন ও আনন্দকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Comments

comments