ঢাকামঙ্গলবার , ২ মে ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

করিমগঞ্জ ইউএনও অফিসের নাজির মিন্টু’র দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ২, ২০২৩ ৭:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নাজির আতাউর রহমান খান মিন্টু’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) সকালে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আতাউর রহমান খান মিন্টু’র নিজ গ্রাম জেলার তাড়াইল উপজেলার পূর্ব দড়িজাহাঙ্গীরপুরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. মুহিত উদ্দিন খান এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মো. মুহিত উদ্দিন খান অভিযোগ করেন, আতাউর রহমান খান মিন্টু একজন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও চাকুরিজীবনে দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ২০০৬-২০০৭ সালে জেলার ইটনায় উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালে তিনি ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল টাকা কামিয়েছেন। তার এসব ঘুষ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে পত্র-পত্রিকায় তখন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পরে তাড়াইল ভূমি অফিসে কর্মরত থাকাকালেও আতাউর রহমান খান মিন্টু ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন। করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নাজির হিসেবে দায়িত্বে থেকে তিনি বর্তমানে ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন। এসব ঘুষ-দুর্নীতির টাকায় তিনি বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অংশীদার হওয়াসহ একাধিক জায়গাজমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণ করছেন। এরমধ্যে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর আতাউর রহমান খান মিন্টু তাড়াইল উপজেলার দশদ্রোন ও পংপাচিহা মৌজায় প্রায় ৯৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন। এই জমি ক্রয়েও তিনি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। জমিদাতারা বংশগত কেউ না হলেও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিতে নামমাত্র মূল্য ১১ লাখ তিন হাজার টাকায় দানপত্র দলিল করেছেন। অথচ বাজারমূল্যে এই জমির দাম অন্তত ৫০ লাখ টাকা। দুর্নীতির টাকায় আতাউর রহমান খান মিন্টু কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পাগলা মসজিদ ও গাইটাল এলাকায় দুটি জায়গা কিনেছেন। বাড়িতে ড্রেজার দিয়ে ১০ লাখ টাকার বালু ভরাট করেছেন। অন্তত ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এছাড়া স্থানীয় আসাদুজ্জামান খানের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকায় ভূমি বন্ধক রেখেছেন। আত্মীয়স্বজন ও অন্যদের জাগয়াজমি জোর করে দখল করে রেখেছেন। তার নামে সরকারি সেচ মোটর রয়েছে। সেচ মোটরটি সরকারি ভর্তুকির মাধ্যমে দেওয়া হলেও কৃষকদের কাছ থেকে কাটা প্রতি ৫-৬শ’ টাকা আদায় করছেন। আতাউর রহমান খান মিন্টু’র এসব দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করা হলে বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী মো. মুহিত উদ্দিন খান অভিযোগ করেন, আতাউর রহমান খান মিন্টু’র দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এছাড়া অভিযুক্তকে স্বপদে রেখেই জেলা প্রশাসনের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আতাউর রহমান খান মিন্টু’র দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে অভিযুক্ত আতাউর রহমান খান মিন্টুকে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি বলেন, মুহিত আমার আপন চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তাদের সাথে আমাদের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। একটি বাটোয়ারা মামলাও রয়েছে। ওই বিরোধ থেকেই মিথ্যা অভিযোগ এনে মুহিত সংবাদ সম্মেলন করেছে। আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে আমি মানহানি মামলা করব এবং আইনগত ব্যবস্থা নিব।

করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, এখন পর্যন্ত নাজির মিন্টুর বিরুদ্ধে কেউ লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

comments