ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ মে ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে আমড়া গাছে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ৪, ২০২৩ ৪:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে আমড়া গাছ থেকে রাকিব মিয়া (১৬) নামের এক কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৪ মে) সকালে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহর লেয়ার মুরগির ফার্মের কাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। রাকিব মিয়া সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের কড়িয়াইল গ্রামের কৃষি শ্রমিক বাবুল মিয়ার ছেলে। রাকিবের পরিবারের দাবি হত্যার পর তার লাশ আমড়া গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের দামপাড়া গ্রামের আব্দুল্লাহর লেয়ার মুরগির ফার্মে পাহারাদার হিসেবে গত ৮ মাস যাবত চাকরি করতেন রাকিব মিয়া। প্রতি শুক্রবার বাড়িতে গিয়ে ছুটি কাটাতেন। এ শুক্রবারেও (০৫ মে) বাড়িতে আসার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার (০৪ মে) ভোর পাঁচটায় লেয়ার মুরগির ফার্মের মালিক আব্দুল্লাহ কড়িয়াল গ্রামে রাকিবের বাড়িতে গিয়ে জানায়, রাকিবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে মোটরসাইকেলে করে স্বজনরা গিয়ে খোঁজাখুঁজি করে আব্দুল্লাহর লেয়ার মুরগির ফার্মের পাশেই আমড়া গাছে রাকিবের মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে রাকিবের মরদেহ উদ্ধার প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

রাকিবের আপন ভাই ফেরদৌস বলেন, আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু নাই। আমাদের পারিবারিক কোনো চাপও নাই। খবর শুনে আমরা গিয়ে দেখি খামারের পাশেই একটি আমড়া গাছে আমার ভাইয়ের মরদেহ ঝুলে আছে। এ সময় দেখি রাকিবের শরীরে বিভিন্ন অংশে কাঁদা লেগে আছে। তার পরণের প্যান্টও খোলা। যে অবস্থায় তাকে দেখলাম তাতে আত্মহত্যা মনে হয় না। আমার ভাইরে মাইরা ফেলাইছে। লাশ যেভাবে গাছে ঝুইলা ছিল সেইটা দেখলেই বুঝা যায় আমার ভাইরে মাইরা ফেলছে।

রাকিবের চাচাতো ভাই নূর মোহাম্মদ বলেন, বিগত আট মাস আগে থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা বেতনে দামপাড়া এলাকায় আবদুল্লাহর খামারে কাজ শুরু করে রাকিব। এরপর থেকে সেখানেই থাকতো। খামারে কাজ শুরুর একমাস পর থেকে একই এলাকার তাজুলের মেয়ের সাথে রাকিবের সম্পর্ক গড়ে উঠে। খামারের মালিক আবদুল্লাহ এবং তার বড় ভাই মো.তাজুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ পারিবারিক ঝামেলা চলছিল। এ ঘটনা গত এক মাস পূর্বে রাকিবের মাকে জানিয়েছিল আবদুল্লাহ। পরে রাকিবের পরিবারের লোকজন তাকে শাসন করে। এরপর থেকে খামারেই কাজ করছিল রাকিব।

আজ ভোর ৫ টার দিকে খামারের মালিক আবদুল্লাহ তাদের বাড়িতে গিয়ে বলেন, রাকিবকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ সময় আবদুল্লাহর সাথেই রওনা হন তারা। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন খামারের প্রায় দেড়শ গজ সামনে একটি আমড়া গাছে রাকিবের মরদেহ ঝুলছে। তার দাবি রাতের কোন এক সময়ে রাকিবকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনতোষ বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments