ঢাকাসোমবার , ১৫ মে ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একই কক্ষে রশিতে ঝুলছিল মা ও সাড়ে তিন বছর বয়সী ছেলের লাশ

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ১৫, ২০২৩ ৪:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শম্ভুপুরে গৃহবধূ ও তাঁর তিন বছর বয়সী সন্তান ফাঁসিতে ঝুলে ছিলেন বলে জানা গেছে। পরে হাসপাতাল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নিহতের শাশুড়িসহ বাড়ির অন্য সদস্যরা। গৃহবধূর পরিবারের ধারণা—শাশুড়ি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সন্তানসহ তাঁকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে। সোমবার (১৫ মে) সকালে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুরের পাক্কার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতেরা হলেন, জোনাকি আক্তার (৩৫) ও সাড়ে তিন বছর বয়সী শিশু সন্তান আলিফ। জোনাকি আক্তার ইতালিপ্রবাসী ফরহাদ মিয়ার স্ত্রী ও উপজেলার কালিকাপ্রসাদ গ্রামের রইছ বাবুর্চির মেয়ে। শিশু আলিফ জোনাকি ও ফরহাদ দম্পতির একমাত্র সন্তান।

স্থানীয়রা বলছে, প্রায় ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে জোনাকি আক্তার ও ফরহাদ মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের সংসারে অশান্তি শুরু হয়।

জোনাকি আক্তারের স্বজনদের অভিযোগ, শাশুড়ি বেবী বেগম বিভিন্ন সময় জোনাকি আক্তারকে গরিব পরিবারের মেয়ে বলে উপহাস করতেন। এ ছাড়াও প্রথম দিকে ফরহাদ মিয়া তাঁর স্ত্রী জোনাকির কথা শুনলেও, পরে মায়ের কথায় বেশি সায় দিতেন। ফলে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

নিহতের স্বজনেরা জানায়, গতকাল রাতেও মোবাইলে শাশুড়ির নির্যাতনের বিষয়টি জানিয়েছিলেন জোনাকি। এমনকি সন্তানসহ তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, গতকাল রাতে কল পেয়ে আজ সকালে নিহতের পরিবারের লোকজন জোনাকির শ্বশুরবাড়িতে আসে। সেখানে সকালে ঘরের দরজা খোলা না দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে দরজা ভেঙে এক রশিতে সন্তান আলিফ ও অন্য রশিতে জোনাকিকে ঝুলতে দেখেন তারা। পরে স্বজনেরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও সন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহতের খালাতো বোন পারভিন আক্তার বলেন, ‘গতকাল রাতে ফোনে করে আমাকে আসতে বলেছিল। সকালে এসে দেখি দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে শিশু সন্তানসহ জোনাকিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি।’

এ ঘটনায় ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম মোল্লা বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ঘটনার পর থেকে শাশুড়ি ও পরিবারের বাকি সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।’

পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম মোল্লা আরও বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে সেই ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’….

Comments

comments