কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় প্রবাসী স্বামীকে নিঃস্ব করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তারই স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার (২২ মে) দুপুরে জেলা শহরের গৌরাঙ্গ বাজারে অবস্থিত স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমনই অভিযোগ করেন প্রবাসী নবী হোসেন। প্রবাসী মোঃ নবী হোসেন (৪২) কটিয়াদী উপজেলার বৈরাগীচর গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্ত্রী রুমা আক্তার (৩৭) একই উপজেলার অষ্টঘরিয়া গ্রামের ইসমাইলের মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে নবী হোসেন অভিযোগ করে বলেন, জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালে দুবাই যাই। দীর্ঘ ১৫ বছরের প্রবাস জীবনের মধ্যে ২০১৮ সালের মার্চে তিন মাসের ছুটিতে দেশে আসি। ছুটি শেষে দুবাই চলে যাওয়ার পর সেখান থেকে স্ত্রী রুমা আক্তারের কাছে ধাপে ধাপে মোট ৩৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ইসলামী ব্যাংক কটিয়াদী শাখায় আমার একাউন্ট নম্বরে জমা দেওয়ার জন্য পাঠাই। প্রতিবারই টাকা পাঠানোর পর স্ত্রী রুমা আক্তার আমার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার রশিদ আমার ইমু নম্বরে পাঠাতেন। চলতি বছরের গত ২১শে এপ্রিল আমি দেশে ফিরি। এর চারদিন পর গত ২৫শে এপ্রিল ব্যাংকে যাই বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা তুলতে। কিন্তু ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারি, “স্ত্রী মোছা. রুমা আক্তারের কাছে পাঠানো প্রায় ৪০ লাখ টাকার এক টাকাও ব্যাংকে জমা হয়নি।”
তিনি বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে স্ত্রী রুমা আক্তার আমাকে টাকা জমা দেয়ার একের পর এক ভুয়া রশিদ ইমু নম্বরে পাঠিয়ে গেছেন। স্ত্রীর এমন প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়ে যাই। স্ত্রী রুমা আক্তারকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতেই টাকার বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন আমায়। এ নিয়ে পারিবাহিক কলহের এক পর্যায়ে স্ত্রী রুমা আক্তার গত ১০ই মে আদালতে আমার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবি মামলা করেন। প্রতারণার মাধ্যমে স্ত্রী প্রবাস জীবনের সমুদয় উপার্জন হাতিয়ে নেয়ায় আমি এখন নিঃস্ব। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে প্রবাসী নবী হোসেনের ছোট বোন নিপা ও তার স্বামী মো. সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযুক্ত রুমা আক্তারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে ফোন কলটি কেটে দেন।
ইসলামী ব্যাংক কটিয়াদী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল ওয়াকিল ব্যাংকের জমা রশিদের বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে গিয়ে বলতে থাকেন আমি অফিসে নেই কিছু বলতে পারবো না। যে জমা দিয়েছে তাকে পাঠান, তাকে পাঠান।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, যতটুকু জেনেছি বিষয়টি পারিবারিকভাবে মিমাংসা হবার কথা ছিল। পরে তারা আর কেউই আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।
Comments
comments