ঢাকারবিবার , ২৭ আগস্ট ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে উত্তেজনা, আতংকে গ্রামবাসী

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ২৭, ২০২৩ ২:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের চৌধুরীহাটি উত্তরকোনা পাড়া জামে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

তবে শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে একই এলাকার মৃত মোবারক খাঁ এর ছেলে মোঃ ফুলু মিয়া বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় তমিজ মিয়া, হাকিম মিয়া, জুয়েল মিয়া, করিম মিয়া, মোঃ হেলাল চৌধুরীর নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, গত রোববার (২০ আগস্ট) চৌধুরীহাটি উত্তর কোনা পাড়া জামে মসজিদে এলাকাবাসীদের না জানিয়ে মাইজখাপন ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি তমিজ মিয়া ও জামাত নেতা হেলাল চৌধুরীর নেতৃত্বে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার নামাজের আয়োজন করেন। ওই জানাজায় কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর অধিকাংশ নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। জামায়েত শিবিরের আয়োজনে এই গায়েবানা জানাজা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে এ বিষয় নিয়ে এলাকার মুসুল্লিরা তমিজ ও হেলালকে জিজ্ঞেস করলেই শুরু হয় বাকবিতন্ড।

এর জের ধরে ৫ দিন পর গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) জুম্মার নামাজ শেষে ফুলু মিয়ার সাথে তমিজ, হেলাল, জুয়েল, হাকিম,করিমসহ কয়েকজন তর্কে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফুলু মিয়ার উপর আক্রমণ করে। এ সময় এলাকাবাসীরা ফুলু মিয়ার ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ করলে জামাত শিবিরের লোকজন সটকে পড়ে।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে উত্তরকোনা পাড়া জামে মসজিদটি জামাত শিবিরের লোকজন নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এমনকি মসজিদের নাম করে বিভিন্ন স্থান থেকে ১৫৯ বস্তা সিমেন্ট এনে তা মসজিদে না বুঝিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া কয়েক লাখ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে তারা। গত রমজান মাসে এলাকাবাসী মসজিদে ইফতার করালে জামাতের ইউনিয়ন নেতারা ছবি তুলে জামাতের ইফতার বলেও প্রচারণা করেছে বলে জানান মুসল্লীরা। গ্রামের লোকজন বাঁশ তুলে সভাপতির কাছে দিলেও তার কোন হিসাব নেই। এসব বিষয় নিয়ে অনেক চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এরই মাঝে শুক্রবার জামাত নেতা তমিজ ও হেলালের নেতৃত্বে ফুলু মিয়ার ওপর হামলার ঘটনা এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে রেখেছে। অন্যদিকে গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম আক্রমণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ করলে হেলাল চৌধুরী নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে দেখে নেবার হুমকি দেয়।

ফুলু মিয়া বলেন, সাঈদীর গায়েবানা জানাযায় যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের আমি বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এইসব বিষয় নিয়া বাড়াবাড়ি করলে আমার জীবন শেষ করে দিবে। আমি বিচার চাই।

এ বিষয়ে কথা বলতে মাইজখাপন ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি তমিজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

comments