নিকলীর আলম রিসোর্টে তরুণীকে ধর্ষণ, কারাগারে দুই আসামি

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় তরুণীকে ধর্ষণ মামলার গ্রেপ্তার দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এর আগে রোববার (২৭ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নিকলী উপজেলার আলম রিসোর্ট থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন, বাজিতপুর উপজেলার সরারচর এলাকার মোঃ কাইয়ুমের ছেলে মোঃ ফাহিম ও নিকলী উপজেলার কামারহাটি এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে আরিফ হোসেন (৩৪)।

মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ফাহিমের সাথে ৪ মাস আগে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ওই ভুক্তভোগী তরুণীর। প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৭ জুলাই ভুক্তভোগী তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ফাহিম বিয়ের আশ্বাস দিলে ওই তরুণী তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি বলেনি। পরে তারা দুজনেই পুনরায় প্রেমের সম্পর্ক জড়ায়। এদিকে গত রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে ফাহিম ওই তরুণীকে বিয়ে করার কথা বলে নিকলী উপজেলার আলম রিসোর্টের ম্যানেজার আরিফের সহযোগিতায় ১০৫ নাম্বার কক্ষে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে থাকতে যায়। এ সময় ফাহিমকে ওই তরুণী বিয়ের চাপ দিলে কাজী এনে বিয়ের করার আশ্বাস দেন ফাহিম। পরে স্ত্রীর অধিকার চেয়ে ওই তরুণীকে আবারও জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফাহিম।

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রোববার রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Comments

comments