ঢাকাশনিবার , ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সব বরাদ্দ পানির দেশে চলে গেছে বললেন সৈয়দ আশরাফের ভাই

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩ ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেছেন, আমার ভাই সৈয়দ আশরাফ মারা গেছে ৫ বছর হয়েছে। আমি শুনেছি এখানে কোনো উন্নতি হয় নাই। ভাই যে চেষ্টা করেছিলো, যে বরাদ্দ এনেছিলো, ভাই মারা যাওয়ার পর সব বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা অন্য কোথাও চলে গেছে, পানির দেশে চলে গেছে।

শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারের হল রুমে সৈয়দ সাফায়েত-সৈয়দা মাহ্বুবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত ভিশন-২০৪১ ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম বলেন, ২০০৮ সালে আমার ভাই সৈয়দ আশরাফ আমার কাছে এসে বলে, ‘আমি একটা মেডিকেল কলেজ করবো আব্বার নামে।’ আমি বললাম, ‘ভাই কই করবা।’ ভাই বলছে, ‘আমি যশোদলে করবো, জমি দিবি তুই।’ আমি বলছি, ‘ভাই তুমি চাইছো, আমি জমি দিব।’ এই যে আপনারা হাসপাতাল দেখতেছেন এই জমি কিন্তু আমি দিয়েছি। ওই সময় ৬ কোটি টাকার জমি দিয়েছি। আজকে শুনি, মেডিকেল কলেজ চলে না। মেডিকেল কলেজে ব্যবসা হয়, রোগীরা খাদ্য পায় না। বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট, ওষুধ নাই, ডাক্তার নাই, একটা খোল পড়ে আছে। কিসের জন্য আমি ও আমার ভাই এতো কস্ট করলাম। সুতরাং আমার প্রথম এবং পবিত্র কর্তব্য হবে মনোনয়ন পেলে যদি আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেন তবে আমার প্রথম দায়িত্ব হবে এই মেডিকেল কলেজকে সাইজ করা। সাইজ করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। যদি এই কাজে আমি ফেল করি তবে সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করবো। কোনো রোগী ঢাকা ময়মনসিংহ যাবে না। আমারও চিকিৎসা এখানে হবে, আপনারা মনে রাইখেন। মরলে এইখানে মরবো, মারা গেলে যশোদল দামপাড়া নিয়া আমারে কবর দিবেন।

সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম বলেন, ভাই বড় শখ করে নরসুন্দা প্রকল্প করছিলো। আপনাদের মনে আছে। নরসুন্দা একটা আর্দশ প্রকল্প হবার কথা। নরসুন্দা প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেছে আপনারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে তার প্রতিবাদ করুন। আমি শুনেছি কাবিখা আসে, গম আসে, চাল আসে, এগুলো বিক্রি হয়ে যায়। ওরা বিক্রি করে দেয়। আল্লাহর ওয়াস্তে এটা বিক্রি করবেন না। এটা গরিবের খাদ্য। একটা কাগজ বিক্রি করে দেয় ৫৫ হাজার টাকায়। ৫৫ হাজার টাকা গরিবের হক। এগুলো মারবেন না। আমি ব্যবসা করে প্রতি মাসে পাই ২৫ লাখ টাকা। আমার এসব খাওয়ার দরকার নাই। সুতরাং আমি নেতা চাই না, ভোটার চাই। ভোট দিয়ে আপনারা প্রতিবাদ করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দ সাফায়েত-সৈয়দা মাহ্বুবা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দা নাজমা ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, রশিদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা কাজু, বৌলাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সোহাগ, রশিদাবাদ ছাত্রলীগের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান সোহাগ, বৌলাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম পাভেল, কিশোরগঞ্জ শহর কৃষক লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন প্রমুখ। সভা ও দোয়া মাহফিলের পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিফাত আহমেদ বচন।

Comments

comments