নভেম্বরের শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা- নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপিকে আলোচনায় বহুবার ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান। বলেন, আমরা বিএনপিকে ডেকেছি। আমরা বহুবার ডেকেছি। আমাদের দরজা এখনো খোলা আছে। তারা যদি আমাদের কাছে আসতে চায় আমরা ওয়েলকাম করবো। এখনো করতেছি। আমরা চাই সবাই মিলে অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। জাতিরও প্রত্যাশা এটাই।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুইদিনের সফরে কিশোরগঞ্জ এসে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে এ প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল আমরা নভেম্বরের শুরুর দিকে হয়তো দিব। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই করব। তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। এবারও তিনি তাই করা হবে। সেটা আমরা নভেম্বরের শুরুতেই দিব আশা করতেছি।

বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি করছে এতে কি নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটবে এমন প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এগুলো আমাদের এখতিয়ার না। রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক বিষয় সমাধান করবে। এখন পর্যন্ত আমরা সংবিধানের ভিতরে থেকে সবকিছু করছি। এসব বিষয়ে আমরা কোনো বক্তব্য রাখতে চাইনা কারণ আমরা নিরপেক্ষ সাংবাদিক সংস্থা হিসেবে কাজ করছি। আশা করছি রাজনৈতিক বিষয় কোনো না কোনোভাবে মিমাংসা হয়ে যাবে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কি সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ কিন্তু আমাদের ওপর নির্ভর করে না। দল অংশগ্রহণ নির্ভর করে দলের সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর। এর সাথে আমাদের সম্পর্ক নাই। আমরা নির্বাচনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করবো। আমাদের দেড় বছর হয়েছে। এই দেড় বছরে সকল দলকে আহবান করেছি একাধিকবার, এখনো আমরা আহবান জানাচ্ছি তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু ও অবাধ হয়। সেটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর সেইখানে আমাদের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। আমরা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। সকল প্রস্তুতি একে একে সম্পন্ন হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ সফরে কেন এসেছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আজকে আমি এখানে আসছি দুইদিন থাকব এখানে। নির্বাচন কেন্দ্রগুলো দেখব। স্পেশালি নির্বাচন কেন্দ্রগুলোর তালিকা করতে বলেছিলাম। কেন্দ্রগুলোর তালিকা পাঠিয়েছে এবং সেখানে যদি কারও অভিযোগ থাকে সেটি নিষ্পত্তি করার জন্য একটা সময় দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর তারিখ পর্যন্ত একটা সময় দিয়েছিলাম। এর মধ্যে যারা স্থানান্তর বা সংশোধন হয়নি তাদেরকে সেটাও করে দিয়েছি। ২ অক্টোবর তারিখে সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এর পরে আর সংশোধন সংযোজনের আর কোনো সুযোগ থাকবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরকালে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা৷ আশরাফুল আলম খোকন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুবেল মাহমুদ, কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ প্রমুখ।

Comments

comments