মাদক বিক্রির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মোঃ রাসেল। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল বারীর আদালতে তাঁর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন শিবু মার্কেট বটতলা রেইলগেইট এলাকা থেকে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ পিবিআই এর সদস্যরা। গ্রেপ্তার রাসেল (২৩) নগুয়া বটতলা এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে। অন্যদিকে নিহত আব্দুল আউয়াল গ্রেপ্তার রাসেলের বাবা।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন কিশোরগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাখরুল হক খান জবানবন্দি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আব্দুল আউয়ালের পরিবার দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। ৪ কেজি গাঁজার ব্যবসার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে আব্দুল আউয়ালের সাথে তাঁর স্ত্রী রেহেনা আক্তার, একমাত্র ছেলে রাসেল ও মেয়ের জামাই তামিমের মনোমালিন্য ছিল। এর জের ধরে গত ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আসামি রাসেল, তামিম, রেহেনা আক্তার ও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন হাতে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি আব্দুল আউয়ালের দোকানের সাটারে জোরে জোরে আওয়াজ করতে থাকে। শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হওয়া মাত্রই তাঁর মেয়ের জামাই তামিম আব্দুল আউয়ালের চোখে মরিচের গুড়া ছুড়ে মারে এবং তামিম শাবল দিয়া আব্দুল আওয়ালকে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় রাসেল মাথার সামনে বাদিকে শাবল দিয়ে পার মেরে জখম করে। এ পরিস্থিতিতে রাসেল ও তামিম মিলে আব্দুল আউয়ালের ওপর চড়াও হয়ে বেধম মারপিট করে। এতে আব্দুল আউয়াল গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে আব্দুল আউয়ালের মৃত্যু হয়।
পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সাখরুল হক খান বলেন, এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিহতের বাবা আবু সাহেদ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ৩ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ পিবিআই মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করে এবং ওইদিন রাতেই আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।
Comments
comments