ঢাকাসোমবার , ২ অক্টোবর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব- মঈন খান

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ২, ২০২৩ ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সরকার বলছে খালেদা জিয়াকে নাকি মুক্তি দেয়া যাবে না। পৃথিবীর কোথাও নাকি দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে নাকি এভাবে মুক্তি দেয়া হয় না। এখন আমি যদি প্রশ্ন করি আজকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ১০ হাজার মামলা করা হয়েছে। ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে। আমার ছোট প্রশ্ন পৃথিবীর কোন দেশে এমন উদাহরণ আছে। যদি আওয়ামী লীগ পৃথিবীর কোনো দেশের এমন অপকর্ম নাই সেই অপকর্ম করে থাকে তাহলে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিরুদ্ধে কেনো এই অপব্যখ্যা।

সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে শুরু হওয়া তারুণ্যের রোডমার্চ শেষে সমাপনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার (১ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের লতিবাবাদ চক্ষু হাসপাতালের সংলগ্ন সংলগ্ন বালুর মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সংবিধানে নাই তাই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিবে না। আমার প্রশ্ন সংবিধানেতো মানুষের চিকিৎসাসহ পাঁচটি মৌলিক অধিকারের কথা আছে। তাহলে সংবিধান অনুযায়ী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সরকার সংবিধান মানার জন্য পাগল হয়ে থাকে তাহলে তাদের এই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে না কেনো?

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন,১৯৯১ সালে বাংলাদেশের যে সংবিধান ছিল সে সংবিধানে কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা লিখা ছিল। তাহলে কিভাবে আজকের বাকশাল সরকার সংবিধানে না থাকা স্বত্তেও ৯১ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। সেদিন যদি তত্তাবধায়ক সরকার প্রথা হালাল হয়ে থাকে আজকে ২০২৩ সালে তত্তাবধায়ক সরকার প্রথা কেনো হালাল হবে না। আসলে এ সরকারের কাছে যুক্তিতর্কের কথা বলে লাভ নাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ভোটের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে এনে ভোট প্রয়োগ করে এ সরকারকে বিতাড়িত করব। পৃথিবীর যে সমস্ত দেশ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া যারা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তারা প্রত্যেকেই ইতিমধ্যে বলেছে যে বাংলাদেশে আগামীতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে।

সমাপনী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করি নাই তাই ২০১৪ সালের নির্বাচনের কথা বলবো না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা বলবো। ২০১৮ সালে প্রার্থীর আকাল ছিল, প্রার্থী পাওয়া যায় নাই। ১৫৩ জন বিনাভোটে নির্বাচিত। সরকার গঠনের জন্য দরকার ১৫১ আসন সেখানে বিনাভোটে পেয়ে গেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে যায়নি। রাতেই ভোট হয়ে গেছে। আপনাদের ভোট ছাড়া যারা এমপি হয়েছে সে এমপিদের যে সংসদ সেই সংসদ কি বৈধ? তাই আমরা এ সংসদকে বাতিল চাই।

তিনি বলেন, আমরা তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাচ্ছি। আমরা ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছি তা বলছি না। ক্ষমতায় যে কেউ আসুক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হউক। জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত হউক। জনগণ ভোট দিতে চায়। যাকে খুশি তাকে ভোট দিতে চায়।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, খালেদা জিয়ার কোনো অপরাধ ছিল না। বলা হইছে তিনি এতিমের টাকা মেরে খাইছে। অবিশ্বাস কথা। দুই কোটি টাকা ছিল সেটা এখন ৮ কোটি টাকা হইছে। খালেদা জিয়া খুবি অসুস্থ। প্রধানমন্ত্রী একটা সাক্ষাৎকারে বলেছেন দণ্ডপ্রাপ্ত কারো বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার দৃষ্টান্ত নাই। আমি দৃষ্টান্ত দিচ্ছি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাসদের তৎকালীন সেক্রেটারি আসম আব্দুর রবকে দণ্ডপ্রাপ্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। কিছুদিন আগে হাজী সেলিম আওয়ামী লীগের এমপি সে দণ্ডপ্রাপ্ত তারপরও সে বিদেশে গেল চিকিৎসার জন্য। আইনমন্ত্রী বলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের নাই, আদালতের কাছে আপনারা যান। তারপরেই আমরা দেখলাম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাসায় গেছে। কোনো কারণে যদি খালেদা জিয়ার কোনো ক্ষতি হয় তবে তার সন্তানদের হৃদয়ে যে আগুন জ্বলবে সে আগুনে সরকার পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।

সমাপনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শরীফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আইনজীবী ফজলুর রহমান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। সমাবেশে অতিথি ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, লায়লা বেগম। সমাবেশটি পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

এদিকে একদফা একদাবী আদায়ের লক্ষ্যে ও দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জন্য ইটনা, অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ( কিশোরগঞ্জ-৪) আসনের বিএনপি নেতা সাবেক জেলা প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম মোল্লা ভাটি অঞ্চলের নেতৃত্ব দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল আমিন আকিল, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রুহুল হোসাইন, শরীফুল ইসলাম, সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া ও আমিনুল ইসলাম আশফাক, সহদপ্তর সম্পাদক ফয়জুল করিম মুবিন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আবু নাসের সুমন প্রমুখ। এদিকে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি মো: শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে বিকেল তিনটায় এই সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ৬৭ কিলোমিটার পথের বিভিন্ন মোড়ে আরো পাঁচটি সমাবেশ করতে গিয়ে রোডমার্চ কিশোরগঞ্জে পৌঁছে রাত সাড়ে ৭টার দিকে।

Comments

comments