কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আদমপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে তাদের কিশোরগঞ্জের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সুতুরকান্দা গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে সোহাগ (২১), একই উপজেলার বলাকিপুর গ্রামের গোলাপ মিয়ার ছেলে রামিন (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের মৃত নিজামুল হকের ছেলে এনামুল হক (২১)। তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালকের বড় ভাই নুরালম বলছে, সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চালক মোকাররম বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। ওইদিন দুপুর বারোটার দিকে অভিযুক্ত সোহাগ, রামিন ও এনামুল তাড়াইল বাজারের থানার মোড় থেকে কেন্দুয়া যাওয়ার জন্য চালক মোকাররমের অটোরিকশা ৫০০ টাকায় ভাড়া করে। পথিমধ্যে অভিযুক্তরা অটোরিকশা চালক মোকাররমকে কৌশলে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ান। নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আদমপুর এলাকায় গিয়ে চালক মোকাররম বুঝতে পারে তাকে জুসের সঙ্গে কিছু খাওয়ানো হয়েছে।
পরে অটোরিকশা চালক মোকাররমের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে অভিযুক্ত সোহাগ, রামিন ও এনামুলকে আটক করে। এদিকে অটোরিকশা চালক মোকাররম তখন অচেতন হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা-পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের আটক ও অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। অচেতন অবস্থায় অটোরিকশা চালক মোকাররমকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে ভুক্তভোগী চালক মোকাররম চিকিৎসা শেষে তাঁর বাড়িতে রয়েছেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগীর বড়ভাই নুরালম বাদী হয়ে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার মামলা করেছেন। আসামিদের মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Comments
comments