ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জের মানুষ নৌকা বাইয়া দে বলে নৌকায় ভোট দেয়- শেখ হাসিনা

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩ ৬:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিশোরগঞ্জ কিশোরই থেকে গেলো। তবে কিশোরগঞ্জ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন হয় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ করে এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি। তাজউদ্দীন আহমেদ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই যে সরকার গঠন হয়েছিলো। যেহেতু জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। নজরুল ইসলাম সাহেবই কিন্তু অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং আমাদের বিজয় এনে দেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অফিস থেকে ভার্চুয়ালি নির্বাচনী প্রচার সভায় যুক্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আবার এই কিশোরগঞ্জে আমাদের জিল্লুর রহমান সাহেব তিনিও কিন্তু রাষ্ট্রপতি ছিলেন। আবার আব্দুল হামিদ সাহেব তিনিও কিন্তু রাষ্ট্রপতি ছিলেন। দেখলাম যে কিশোরগঞ্জ কিশোর হলেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদগুলো সবসময় কিশোরগঞ্জই পায়। এটা হলো বাস্তবতা। আজকে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি আমাদের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দিব। সেই সাথে সকলের জন্য ভোট চাওয়ার জন্য। কারণ কিশোরগঞ্জ সবসময় আওয়ামী লীগ, নৌকা মার্কা, নৌকা বাইয়া দে বলে নৌকায় ভোট দেয়। আমি আশা করি এবারও কিশোরগঞ্জ আমাদের ভোট দেবে।

ভার্চুয়ালি প্রচার সভায় কিশোরগঞ্জ প্রান্ত থেকে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আফজাল। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিশোরগঞ্জের ৫টি আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সাথে সকলের পরিচয় করিয়ে দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫টি সংসদীয় আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় বলেন, কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে নৌকা পেয়েছেন জাকিয়া নূর লিপি। তিনি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে বিদেশে ছিল। আওয়ামী লীগের ডাকে সে চলে আসে। রেহেনার ডাকে সে চলে আসে। সে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের এমপি ছিল। আশা করি তাকে আবারও ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলা, বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত তার হাত দিয়েই কিন্তু করা হয়েছে। খুনিদেরকে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারী করে জিয়াউর রহমান যে তাদের বিচারের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছিল সে আইন বাতিল করে দেই পার্লামেন্টে। আমরা যে খুনিদের বিচার করতে পেরেছিলাম তার জন্য কিন্তু আব্দুল কাহার আকন্দের বিরাট অবদান আছে। যার জন্য আব্দুল কাহার আকন্দকে আমরা নৌকা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে আমাদের কোনো প্রার্থী নেই। সেখানে জাতীয় পার্টিকে দিয়ে দিতে হয়েছে। বারবার দিতে হচ্ছে। আমাদের নৌকা যারা তাদের জন্যে এটা খুব দুঃখের। তবে এবারই শেষ ভবিষ্যতে আমরা কাউকে দিব।

শেখ হাসিনা বলেন, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অস্টগ্রাম) আসনে আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক। এইখান থেকে হামিদসাব বারবার জয় লাভ করেছেনম কখনো নৌকার বাইরে যায়নি। এই জায়গাটা ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। ভবিষ্যতেও এই ঐতিহ্য থাকবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে আফজাল হোসেন বাজিতপুরে আমাদের পার্টির প্রসিডেন্ট। তাকেও নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নাজমুল হাসান পাপন সে মনে হয় ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত। খেলাও চলছে, তাছাড়া এলাকাতেও আছে। সে আমাকে বলে গেছে। আমাদের ৬টা সিটের মধ্যে ৫টাই নৌকা মার্কা। আমরা আশা করি কিশোরগঞ্জবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন। আমার এই বার্তাটা এলাকায় এলাকায় পৌঁছে দিবেন আপনারা।

Comments

comments