ঢাকাসোমবার , ১১ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রমজানকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে গরুর দুধের দাম চড়া

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ১১, ২০২৪ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রমজান মাস আসতে না আসতেই কিশোরগঞ্জে গরুর দুধ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। লিটার প্রতি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরায় বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। এতে করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে। তাঁরা বলছে, অন্যান্য দেশে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমে আর আমাদের দেশে রমজান মাসকে পুঁজি করে দাম বাড়ায়। যে হারে দুধের দাম বেড়েছে তাতে রমজান মাসে দুধ না খেয়েই থাকতে হবে।

সরজমিনে কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, ১০ দিন আগেও গরুর দুধ লিটার প্রতি বিক্রি হয়েছে ৮০-৯০ টাকা। কিন্তু শুক্রবার (০৮ মার্চ) থেকে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা দরে। গ্রামাঞ্চলের বাজারগুলোতে যে দুধ ৬০-৭০ টাকা লিটার বিক্রি হতো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়।

সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের সাদুল্লারচর বড়বাগ গ্রামের নাজিমুদ্দিন বলেন, জানেন না আমরা কোন দেশে বাস করি। সেটা দেখতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে রমজান আসলে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে আর রমজান মাসকে পুঁজি করে আমাদের দেশে বাড়ে। দুর্ভাগ্য আমাদের।

জেলা শহরের গাইটাল এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, আমার ছেলের বয়স ৩ বছর। বাচ্চাটাকে গরুর দুধ খাওয়াতে হয়। রমজান মাস আসতে না আসতেই হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দিল। ১২০ টাকা করে দুধ কিনলাম। আমাদের আয় না বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে। কি আর করবো আমার শিশু বাচ্চাটার খাওয়াতো বন্ধ করা যাবে না। আমরা না হয় কম খেলাম।

খামারিরা বলছেন, বর্তমানে গরুর খাবারের দাম একটু বেশি হওয়ায় দুধের দামও বাড়াতে হয়েছে এখন ৭০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আমাদের একটাই দাবি গরুর খাবারের দাম কমান এবং সরবরাহ নিশ্চিত করেন।

বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আজমল খান বলেন, রমজানে চাহিদার তুলনায় দুধ উৎপাদন কম হয়। আমাদের খামারির সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। গো-খাদ্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। এই দাম কমানো দরকার। এছাড়া গো-খাদ্যের সরবরাহ থাকে না। এতে করে খামারিরা পড়ে বিপাকে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, খামারিরা ৬০-৭০ টাকা দরে দুধ বিক্রি করছে। খামারিরা দাম বৃদ্ধি করেনি। খুচরা বিক্রেতারা মিথ্যা বলে দাম বাড়িয়ে দুধ বিক্রি করছে বা এখানে কোনো মিডলম্যান রয়েছে যারা এই কাজটা করছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক বলেন, প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে সমন্বয় করে আমরা বিষয়টি দেখব এবং তাদের তত্ত্বাবধানে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।

Comments

comments