ঢাকামঙ্গলবার , ১২ মার্চ ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জে মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে আহত করার মামলায় ৫ জনের কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ১২, ২০২৪ ২:৪৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জে জায়গা জমির বিরোধের জেরে শিমুহা দিঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কাজিরগাও পশ্চিমপাড়া মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে আহত করার মামলায় ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইউনুস খান এ রায় দেন।

এ সময় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করে আদালত। রায় ঘোষণাকালে ৭ জন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং দুই জন আসামি পলাতক ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জন আসামিকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মামলার অন্য এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় মামলা থেকে আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়।

দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে। দেড় বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর মিয়া একই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। দেড় বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জীবন মিয়া একই গ্রামের মির্জালীর ছেলে। এক বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কাউসার মিয়া একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। এক বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জসিম উদ্দিন একই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে আহত শিমুহা দিঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কাজিরগাও পশ্চিমপাড়া মসজিদের খতিব আঃ ছালাম সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের কাজিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, জায়গা জমির বিরোধের জেরে ২০১৮ সালের ২০ জুন আহত মসজিদের খতিব আঃ ছালামের বাড়ির সীমানায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কোপায়। আঃ ছালামকে বাঁচাতে আসলে তাঁর তিন ছেলে ইখলাস, আলাউদ্দিন ও মিনহাজকেও কুপিয়ে আহত করে আসামিরা। এ সময় প্রতিবেশীরা ফেরাতে আসলে তাদেরকেও আহত করে আসামিরা। পরে আঃ ছালামসহ আহতদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। ২০১৮ সালের ২১ জুন আঃ ছালামের ছেলে ইখলাস উদ্দিন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এদিকে আহতদের মধ্যে আঃ সালামের ছেলে ইখলাসের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করে।

মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম খান আদালতে ৯ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এবং একজনের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেন। মামলার ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে আদালত রায় প্রদান করেন। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ফজলে কাদির মুকুল ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এহতাশেমুল হক চৌধুরী জুয়েল।

Comments

comments