ঢাকারবিবার , ১৯ মে ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সড়ক ও মহাসড়কে শুকানো হয় খড়, দুর্ঘটনার শঙ্কা

প্রতিবেদক
Kolom 24
মে ১৯, ২০২৪ ৮:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর খড় শুকানো হচ্ছে। সড়কে শুকাতে দেয়া খড়ের কারণে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় ছোট বড় যানবাহনসহ পথচারীদের। এমনি দৃশ্য চোখে পড়ে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়ক, কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া আঞ্চলিক সড়ক, ইটনা-মিঠামইন-অস্টগ্রামের অলওয়েদার সড়ক, কিশোরগঞ্জ- করিমগঞ্জ সড়ক, কিশোরগঞ্জ-নিকলী সড়ক, নিকলী-বাজিতপুর সড়কসহ গ্রামের বিভিন্ন সড়কে। এতে সড়কের অর্ধেক অংশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

কৃষকেরা বলছেন, সড়কে খড় শুকাতে দিলে তেমন কষ্ট করতে হয় না। একদিনেই খড় শুকানো হয়ে যাই। তাই বেশিরভাগ মানুষ সড়কে ধান ও খড় শুকাচ্ছে। যদিও মহাসড়ক আইন-২০২১ অনুযায়ী, ফসল, খড় বা অন্য কোনো পণ্য শুকানো বা এ ধরনের কোনো কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করা যাবে না উল্লেখ আছে।

সরজমিনে জেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, বোরো চাষিরা মাঠ থেকে ধান কেটে রাস্তায় রাখছেন। আবার সেখানেই ধান মাড়াই করে খড় রাস্তায় বিছিয়ে শুকাচ্ছেন। ওই সব খড়ের ওপর দিয়ে আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করছে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ অটোরিকশা, অটোভ্যান, সাইকেল ও মোটরসাইকেল। মাঝে মাঝে খড়ের ওপরে চলতে গিয়ে পিছলে পড়ছে ছোট যানবাহন। তবু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছে পথচারীরা।

চালকেরা বলছেন, নিজের সম্পদ মনে করে সড়কে এভাবে ধান ও খড় বিছিয়ে রাখে। ধান ও খড়ের কারণে যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা তারা চিন্তা করে না। কখন যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ি, ভয় পাই। আল্লাহ নিজে আমাদের বাঁচান।

মোটরসাইকেল আরোহী জাহাঙ্গীর বাদশা ও সাইফুল্লাহ বলেন, ধরেন একটা বাস আসতেছে বিপরীত দিক দিয়ে আপনি সাইড দিয়ে ব্রেক কষলেন। কিন্তু সড়কে খড় থাকার কারণে মোটরসাইকেলটি স্লিপ করবে। ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। রাস্তায় খড় রাখার কোনো নিয়ম না থাকলেও দিব্যি খড় শুকানো হয়। এতে করে যে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা বাড়ে তা নিয়ে কারো চিন্তা নাই।

বাস চালক আসাদ বলেন, আমি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার বাস চালাই। আমাদের একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে হয়। রাস্তায় খড় থাকলে গাড়ি জোরে চালানো যায় না। জোরে চালালে দুর্ঘটনা ঘটবে। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস চালাতে হয়। বিশেষ করে দুটি গাড়ি ‘ক্রসিং’ করার সময় সড়কের একেবারে কিনারে চলে যেতে হয়। এমনকি যাঁরা ধান ও খড় শুকানোর জন্য সড়কের ওপর থাকেন, তাঁদেরও হতাহতের ঝুঁকি থাকে। এছাড়া যানজটতো আছেই।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সৈয়দ ইয়াছিন বলেন, কৃষক ও কৃষি যেমন বাঁচাতে হবে তেমনি সড়কে চলাচলকারী মানুষদেরও বাঁচাতে হবে। আইন রয়েছে সড়কে খড় শুকানো যাবে না। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় আমাদের আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন। চলতি বছর ধান উৎপাদন হয়েছে ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৫৬ মেট্রিক টন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরা ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রয়োজনীয় জায়গার অভাবে জেলার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের ওপর কৃষকেরা এসব ধান ও খড় শুকাচ্ছেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন, সড়কে খড় শুকাতে নিষেধ দেয়া হয়। আমরা প্রতিনিয়তই তাদের সর্তক করি এই বলে যে সড়কে খড় শুকাতে দিলে দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কা বাড়ে। এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ সড়কে খড় শুকানোর বিষয়টি সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করব।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন বলেন, সচেতনতা বাড়াতে পুলিশ কাজ করছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Comments

comments