কিশোরগঞ্জে মদিনা আক্তার (২৮) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর অর্ধ পচনশীল মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৪ জুন) সকালে সদর উপজেলার বিন্নাটি চৌরাস্তা এলাকার কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের একটি ডোবা থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মদিনা আক্তার পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের আবু তাহেরের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় লোকজন ডোবায় ভাসমান অবস্থায় এক নারীর মরদেহ দেখতে পায়। পরে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পরিচয় সনাক্ত করে জানতে পারে ওই নারীর নাম মদিনা আক্তার। সে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। গত ২৮ মে রেহেনা আক্তার নামে এক নারীর সাথে চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ডাকে
৪০ দিনের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির একটি সভায় যায় ওই নারী। ওই সভা শেষে রেহেনাসহ আর কেউ ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীটিকে খুঁজে পায়নি। পরে রেহেনা ওই প্রতিবন্ধী নারীর পরিবারকে বিষয়টি জানালে পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে গত ৩১ মে পাকুন্দিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
মদিনা আক্তারের দুলাভাই স্বপন মিয়া বলেন, আমার শ্যালিকা একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী তারতো কোনো শত্রু থাকার কথা না৷ পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি তারা যেন বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত করে। তার সাথে যদি খারাপ কিছু ঘটে থাকে তাহলে যেনো আমরা বিচার পাই।
চন্ডিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শামছু উদ্দিন বলেন, মদিনা আক্তার একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী। সে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে কাজ করত। মদিনার নিখোঁজের সংবাদ যখন পাই তখন তার পরিবারের সদস্যদের মাইকিং করতে বলি এবং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে বলি। আজ শুনলাম তার মরদেহ পাওয়া গেছে। আমি এ বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাকুন্দিয়া থানায় ওই নারী হারিয়ে গিয়েছে মর্মে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল৷
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, সাধারণ ডায়েরির পর থেকেই তাকে আমরা খুঁজতেছিলাম। এখন তার মরদেহ পাওয়া গেছে খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন যথানিয়মে পাঠিয়ে দেয়া হবে। আমরা কিছু বলতে পারবো না।
Comments
comments