কিশোরগঞ্জে একটি পাইপগান, একটি চাইনিজ কুড়াল ও একটি চাপাতিসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। শুক্রবার (২৮ জুন) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল নতুন বাজার থেকে মনোকর্শা গ্রাম যাওয়ার পাঁকা রাস্তা থেকে তাদের আটক করে র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকেরা জানায় ব্যাটারি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওসমান আলী নামে এক ব্যাক্তিকে ফাঁসানোর জন্যে এইসব অস্ত্র নিয়ে ওসমানের বাসায় যাচ্ছিলো।
আটক নবী হোসেন সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের মনোকর্শা গ্রামের মৃত আঃ খালেকের ছেলে ও দেলোয়ার হোসেন একই ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামের মোঃ সোহরাব মিয়ার ছেলে। শনিবার (২৯ জুন) দুপুরের দিকে র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবির এসব তথ্য জানান।
কোম্পানী অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবির জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের রাত্রীকালীন টহল টিম মাদক বিরোধী ও অবৈধ মালামাল উদ্ধার অভিযানসহ নিয়মিত টহল ডিউটির অংশ হিসেবে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল নতুন বাজার থেকে মনোকর্শা গ্রামে যাওয়ার পাঁকা রাস্তায় চেকপোস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে। রাত দুইটার দিকে দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি র্যাবের চেকপোস্টের নিকট আসলে র্যাবের আভিযানিক দল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে এবং দেহ তল্লাশী করে।
তিনি জানান, দেহ তল্লাশী করে তাদের নিকট থেকে ১টি পাইপগান, ১টি চাইনিজ কুড়াল ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের নাম মোঃ নবী হোসেন ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলে জানায়। অস্ত্রের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, ব্যাটারি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী মোঃ ওসমান আলীর সাথে তাদের বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর জন্য ওসমান আলীর বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকেরা নিজেদের হেফাজতে অস্ত্র রাখার কথা স্বীকার করে এবং দেশীয় তৈরী পাইপগানটি দেলোয়ার হোসেন নিজে তৈরি করেছে বলে স্বীকার করে। দেলোয়ার হোসেনের নামে এর আগেও একটি অস্ত্র আইনের মামলা ছিল বলে জানা গেছে। আটক দুইজনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Comments
comments