ঢাকারবিবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সড়কে পানি, নির্মাণ কাজে দেরি, দুর্ভোগে গ্রামবাসী

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪ ৭:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সড়কে জমে আছে পানি। নির্মাণ সামগ্রী পড়ে আছে পাশেই। এভাবেই পার হয়ে গেছে ৩ মাস। শুরু হয়নি কাজ। যার ফলে দুর্ভোগে পড়েছে হাওর এলাকার মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের আটপাশা গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দারা। এই সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচলও দুষ্কর হয়ে পড়েছে মানুষের।

গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, সড়কটি মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ঢাকী ইউপি থেকে গোবিন্দপুর বাজার, গোবিন্দপুর গ্রাম, আটপাশা বাজার এবং আটপাশা গ্রামের সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই সড়কটি হলে আমাদের আর ঘুরে মিঠামইন বা ইটনা উপজেলায় যেতে হবে না। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন এম এ গনি ভূইয়া উচ্চ বিদ্যালয় এবং আটপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্য মানুষ চলাচল করে। পানি জমে থাকার কারণে এই রাস্তা দিয়ে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না। পোশাক নষ্ট হয়ে পড়ে পানির কারণে। এছাড়া গোবিন্দপুর এবং আটপাশা হাওরের ধান কৃষকের ঘরে আনতে এই সড়কটি ব্যবহার হয়। সড়কটি দ্রুত নির্মাণ না হলে আমাদের দুর্ভোগ যেনো শেষ হবে না। আমরা দ্রুত সড়ক নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।

সরজমিনে দেখা গেছে, ইট, পাথর, সুরকিসহ নির্মাণ সামগ্রী পড়ে আছে। সড়কে জমে আছে পানি। খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে মাটির সড়কটি। গাড়ি চালানো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কে ভোগান্তি নিয়ে ট্রাক্টর, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল চালকেরা চলাচল করছেন। ভোগান্তি এড়াতে টাকা বেশি গেলেও ৩-৪ কিলোমিটার ঘুরে মিঠামইন বা অন্য কোনো গন্তব্যে যাচ্ছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা।

এলজিইডি অফিস সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (এমআরআরআইডিপি) আওতায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের আটপাশা বাজার সড়কসহ আটপাশা বাজার লিংক রোড (২ হাজার ৩৮০ মিটার) নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার প্যাকেজ নম্বর এমআরআরআইডিপি / ২৪/ কিশ/মিঠ/ ইউএনআর / ২৪০। সড়কটি নির্মাণের প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬ টাকা। আর চুক্তিমূল্য ছিল ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫৩২ টাকা। কাজটি সম্পাদনে চলতি বছরের ২ জুন চুক্তি হয়।

গ্রামের বাসিন্দা মো রাসেল ও সোহাগ বলেন, এই এলাকায় হাজার হাজার বসতি। সড়কের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য সমসময় খারাপ যায়। মানুষ চলাচল করতে পারে না। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই।

সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার মমিনুল হক সেলিম বলেন, পানি শুকালেই কাজ শুরু করব। পানির কারণে কাজ করতে পারি নাই।

ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান রুবেল বলেন, ভাটি এলাকার বিষয়তো জানেনই ৬ মাস পানি আর ৬ মাস শুকনো। চুক্তির পর কাজ শুরু করার কথা ছিলো কিন্তু পানি চলে চলে আসার কারণে কাজ আর শুরু করা যায়নি। ভাটি এলাকার এটি স্বাভাবিক চিত্র। এখন পানি সরে যাচ্ছে আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ সম্পন্ন হউক।

মিঠামইন উপজেলা প্রকৌশলী ফয়জুর রাজ্জাক বলেন, এই সড়কটি মিঠামইনের দুটি ইউনিয়ন কাটখাল এবং বৈরাটি সাথে সংযোগ স্থাপন করেছে।এই সড়কের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন সমাপ্ত হলে অত্র উপজেলার ঢাকি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এবং আটপাশার জনগণ মিঠামইন উপজেলা সদর এবং কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারবে তাছাড়াও পাশের ইটনা উপজেলার মানুষ সহজেই মিঠামইন উপজেলার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে ফলে মানুষের জীবন মান আর্থসামাজিক অবস্থার ইতিবাচক উন্নয়ন হবে।

কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই ঠিকাদার পর্যাপ্ত মালামাল মজুদ করেছে। রাস্তায় ৬-৭ ইঞ্চি পানি থাকায় কাজ শুরু করা যায়নি। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা থেকে পানি সরে যাবে। পানি সরে যাওয়ার পর ঠিকাদার কাজ শুরু করবে। কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। কাজ শেষ হলেই চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হবে।

Comments

comments