গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, বিএনপি আমাদের মিত্র, গত ১৫ বছরে বিএনপি গুম খুন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। যারা চাঁদাবাজি করছে, দখলদারি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি কে এখন প্রমাণ করতে হবে বিএনপি মুদ্রার এপিঠওপিঠ নয়। গতকাল কক্সবাজারে একজন সেনা অফিসার দূর্বত্তদের হামলায় নিহত হয়েছে, এটা সামান্য কোন বিষয় নয়। পাশের দেশের গোয়েন্দা সংস্থা এখনও এই দেশে তৎপর। তারা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা বিভক্ত হয়ে গেলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা সুযোগ নিতে পারে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিমুলকান্দি ইউনিয়ন গণঅধিকার পরিষদ শাখার কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, ১৮ মাসের ভিতর নির্বাচন নিয়ে সেনাপ্রধান যে বক্তব্য দিয়েছে তা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে গণঅধিকার পরিষদ। আমরা চাই রাষ্ট্র সংস্কার করে করে দ্রুত সময়ের নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য বলেন, ২৪ সালে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা একটি বিজয় অর্জন করেছি। ছাত্র জনতার ঐক্য কে বিনষ্ট করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এই বাংলাদেশে দখলদারিত্ব চলবে না।ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব চলছে, আমরা স্পষ্ট ভাবে বলছি এসব দখলদারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। অভিযোগ রয়েছে গণহত্যায় নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামিলীগের বিভিন্ন নেতাদের এলাকায় ফেরাচ্ছে বিএনপির নামধারী এক শ্রেণীর লোক। আমরা স্পস্ট করে বলছি এদের বিরুদ্ধে বিএনপির ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কিংবা ক্ষমতার অংশীদার হলে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ দিবে। দেশের বেকারত্ব কমানোর জন্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার জন শিক্ষিত বেকার যুবকদের নামমাত্র সুদে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।
ভৈরব উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ইমতিয়াজ কাজলের সভাপতিত্বে ছাত্র নেতা জুনায়েদ সরকারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, কটিয়াদি উপজেলা আহ্বায়ক মহসিন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা সদস্যসচিব মোস্তফা কামাল, বাজিতপুর উপজেলার নেতা হুমায়ুন আহমেদ ও ইকবাল হাসান প্রমুখ।
Comments
comments