সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাজিতপুর উপজেলার ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে বাজিতপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৬ শতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশ নেন।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন কমিটির বাজিতপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব রাজীব আহম্মেদ, শাহপরান, শরীফুল ইসলাম, মোজাহেদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ইমরান, সায়েম খান, ভাই, মোবারক হোসেন, ভাই, ফজলে এলাহি, শিল্পী আক্তার, শারমিন আক্তার, সামন্তী ঘোস, ইনাকি সাহা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক সমমান (২য় বিভাগ) ও বেতন গ্রেড ১৩ তম। যেখানে অষ্টম শ্রেণি পাস ড্রাইভারদের বেতন গ্রেড ১২তম। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড: ১০ম। পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান, বেতন গ্রেড: ১০ম। নার্সদের নিয়োগ পদে যোগ্যতা: এইচএসসি (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং), বেতন গ্রেড ১০ম। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদে নিয়োগ যোগ্যতা: এসএসসি (৪ বছর কৃষি ডিপ্লোমা), বেতন গ্রেড: ১০ম। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব পদে নিয়োগ যোগ্যতা: আগে ছিল এইচএসসি বর্তমানে স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড) ১০ম (প্রস্তাবিত)। বিচ্ছিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড: ১০ম ও ৯ম। এছাড়া একই কারিকুলাম, একই সিলেবাস ও একই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা পিটিআইসংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক (দ্বিতীয় শ্রেণি) বেতন গ্রেড: ১০ম। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (২য় বিভাগ) সমমান হলেও ১০ম গ্রেড পেতে শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক প্রতিবন্ধকতাই দায়ী বলে মনে করছি।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা একই যোগ্যতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তৃতীয় শ্রেণির গ্রেডে বেতন পাচ্ছি। অথচ সমান যোগ্যতায় অনেকেই ১০ম গ্রেডে বেতন পাচ্ছে। এটা স্পষ্টত বৈষম্য। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের ন্যায়সংগত দাবি বাস্তবায়নে বৈষম্যবিহীন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুগ্রহ কামনা করছি।
মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন। এ সময় তিনি দ্রুত গ্রেড বৈষম্য নিরসনের আশ্বাস দেন।
Comments
comments