ঢাকাবুধবার , ১৭ জুন ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শৌখিন ঘুড়িওয়ালা !

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুন ১৭, ২০২০ ১২:৪৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

শখের বশে ঘুড়ি বানাতে বানাতে এখন নেশায় পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন একেক রকমের ঘুড়ি বানানো আর সেই ঘুড়িকে আকাশে উড়িয়ে ঘুড়ির পানে চেয়ে থেকে সময় কাটে শৌখিন ঘূড়িওয়ালা নাম তার মামুন। রামকান্তপুর গ্রামের ২২ বছরের যুবক। নেশাই তার ঘুড়িকে আকাশের মধ্যে উড়িয়ে আকাশ ছোয়া। মন তার আকাশের ঘুড়ির সাথেই দোল খায় বাতাসে । প্রতিদিন তার কাছে ঘুড়ি দেখতে ভীড় জমায় পাড়ার ছেলেরা। কৌড়া আর ঢাপুস ঘুড়ি বিভিন্ন রঙের কাগজে বানিয়ে রোদেলা আকাশে উড়িয়ে মুক্ত মনে বসে ভাবে ঘুড়ির সাথে যদি সে উড়তে পারতো।

শুধু দিনেই নয় রাতের বেলায়ও এই ঘুড়ি গুলোতে অত্যাধুনিকভাবে মোবাইলের ব্যাটারি ব্যাবহার করে ছোট ছোট লাল নীল, সবুজ, রঙের বাতি লাগিয়ে অনেক রাত ধরে আকাশে ঘুড়ি উড়িয়ে বসে থাকে।

পাড়ার অনেক ছেলেরাও বানিয়ে নেয় তার কাছ থেকে বিভিন্ন রকমের ঘুড়ি। আর একেক টা ঘুড়ির দামও প্রায় ৫শ থেকে ১হাজার টাকা বিক্রি করে।প্রতিযোগীতা করে কে কত উপড়ে ঘুড়ি আকাশের বুকে ওড়াতে পারে। রাতে প্রায় ১০-১৫টি ঘুড়ি নিয়ে এলাকার ছেলেরা আকাশে উড়িয়ে বসে দেখে ঘুড়ির ওড়ার দৃশ্য । লাল নীল সবুজ রঙের ঘুড়ি দেখতে পাড়ার মহিলা পুরুষ ছোট বাচ্চারা তাকিয়ে থাকে আকাশে। ঘুড়ির সাথে বাতি তার সাথে যুক্ত করা হয় বেনার শব্দ । অত্যান্ত মনোমুগ্ধকর আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে ভালোই লাগে । মনে হয় বড় বড় তারা না হয় এরোপ্লেন। কিন্তু হটাত বৃষ্টির আভাষ দেখা দিলে দ্রুত লাটাইয়ের সুতা গোছাতে ব্যাস্ত হয়ে পরে সবাই।

মামুন জানায়, এই ঘুড়ির অন্যতম উপকরণ বাশ। বাশের বাতা চেচে শুক্ষ করে পাতলা করে কৌড়া ও ঢাবুস ঘুড়ির ফ্রেম প্রথমে বানানো হয়। এরপর রোদে শুঁকিয়ে তার উপর কাগজের বা কাপড়ের ছাউনি দিয়ে বানানো হয় এই ঘুড়ি। ঘুড়ি বানানো আমার শখ। কিন্তু এখন নেশা হয়ে গেছে ।আর এলাকার ছেলেরা প্রতিদিনই আসে তাদের একটা ঘুড়ি বানিয়ে দিতে । রাতে বাশের বাতা চেচে ১০-১১টা পর্যন্ত কাজ করলে একটা ঘুড়ি বানানো যায়। বড় ঘুড়ি প্রায় ৫শ থেকে ১হাজার টাকাও বিক্রি হয়।

Comments

comments