ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৩০ জুলাই ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পুঁজি বাঁচানো নিয়েই শঙ্কিত ব্যবসায়ী ও খামারিরা

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুলাই ৩০, ২০২০ ৪:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন পশুর হাটে গরু ওঠাতে শুরু করেছেন গরু ব্যবসায়ী ও খামারিরা। কিশোরগঞ্জে এ বছর স্থায়ী পশুর হাট ছাড়াও প্রতি উপেজলায় থাকছে না আগের মতো অস্থায়ী পশুর হাট। অস্থায়ী হাটের সংখ্যা অনেক কম থাকলেও এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু আসতে শুরু করেছে, তবে সে অনুযায়ী বিক্রি নেই।

জেলার শোলাকিয়া বাজারে গিয়ে গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ পর্যন্ত যে জায়গাগুলোয় হাট শুরু হয়েছে, সেখানে শুধু পশু বিক্রেতারাই আসছেন। হাজার হাজার পশু উঠছে হাটে, কিন্তু ক্রেতা নেই। ব্যবসায়ী ও খামারি সবারই একই কথা লাভ চাই না, পুঁজি চাই।

কিশোরগঞ্জের পশুর হাটগুলোতে দেখা গেছে, পুরো হাট পশুতে ভরপুর। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। কিন্তু ক্রেতার তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা প্রায় ১০ গুণেরও বেশি। ব্যবসায়ীরা গরু নিয়ে সকাল ১০টায় বাজারে এসে দিন শেষে একটি গরু বিক্রি করেছেন। তাও আবার আসল দামে।

তিনি জানান, এবার জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরেছি। ঘুরে যা দেখলাম, এবার লাভ হওয়ার পথ নেই। ১৫ বছর ধরে গরু ব্যবসা করে এলেও এমন পরিস্থিতি আর দেখিনি। তাই এবার লাভের চিন্তা বাদ দিয়ে পুঁজির চিন্তা করছি।

সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের কাজী গিয়াস নামে এক খামারি পাঁচটি গরু নিয়ে চৌদ্দশত পশুর হাটে এসেছেন। এগুলো তার খামারের গরু। সারা বছর লালন-পালন করে বড় করেছেন কিছু টাকা লাভের আশায়। কিন্তু এবার সেই লাভের আশা দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। তার ধারণা, গোখাদ্যের যে দাম এবং এগুলোর পেছনে যে অর্থ খরচ ও পরিশ্রম হয়েছে এবার সবই বিফলে যাবে।

তিনি বলেন, ‘মাংসের দরে গরু বিক্রি করলে লাভ হবে না। যারা মাংসের জন্য গরু পালন করেন তারা এত বেশি খরচ করেন না। দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে লাভ বাদ দিয়ে পুঁজি এলেই বাঁচি।’

কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নে আনন্দ বাজার পশুর হাটে একই উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে পাঁচটি ষাঁড় গরু নিয়ে এসেছেন বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরেই পশুর ব্যবসা করেন।

তিনি বলেন, ‘এবার অস্থায়ী গরুর হাট আগের মতো জমবে না বলে খবর পেয়েছি। গত বছর এমন সময় কোরবানির পশুর হাটে বেচাকেনার ধুম পড়ত। কিন্তু এ বছর এখনও তার কিছুই চোখে পড়ছে না। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব ব্যবসায়ী গরু নিয়ে আসেন, তারা অনেকেই করোনাভাইরাসের কারণে পশু ক্রয় করেননি।’

বাংলাদেশ ডেইরী ফার্মারস এসোসিয়েশন কিশোরগঞ্জ জেলার শাখার সভাপতি আজমল খান বলেন, জেলার ডেইরী শিল্প মূলত ক্ষুদ্র খামারের উপর নির্ভরশীল। ছোট গরু বিক্রি হচ্ছে বড় গরুর চাহিদা কম। কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। সবাই এক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলামের কাছে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর যেহেতু করোনার প্রাদুর্ভাব রয়েছে, তার মধ্যে কত লোক কোরবানি দেবেন তার ওপর নির্ভর করবে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন কি না।

Comments

comments