চলতি বছর পাটের উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছে বেসরকারি পাটকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুটমিল অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)। একই সঙ্গে পাটশিল্প বাঁচাতে প্রতি মেট্রিক টন কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর ২৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে সংগঠন দুটি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানানো হয়। একই সঙ্গে সংগঠন দুটি আনকাট বাংলা তোশা রিজেকশন (বিটিআর) ও বাংলা হোয়াইট রিজেকশন (বিডব্লিউআর) জাতের পাট রপ্তানি বন্ধের অনুরোধ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে বিদ্যমান পাটকলের সংখ্যা ২৫৯টি। এই পাটকলগুলো পরিচালনায় বছ’রে প্রয়োজন হয় ৬০ লাখ বেল কাঁচা পাট। বেসরকারি এই শিল্প খাতে কর্মরত আছেন ২ লাখ শ্রমিক। পরোক্ষভাবে এই শিল্প ৪ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। বছরে প্রায় ৬.৭০ লাখ মেট্রিক টন পাটপণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করে ৫ হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। মোট পাটপণ্য উৎপাদন হয় ৭ লাখ ৪০ হাজার মে. টন।
এ সময় আরও জানানো হয়, এবারের বন্যায় ও খরায় পাটের উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতি বছর ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হলেও এ বছর ৫৫ লাখ বেলের বেশি উৎপাদন হবে না। এই অবস্থা’য় কাঁচা পাট রপ্তানি হলে এই শিল্প সংকটে পড়বে।