ঢাকাশনিবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাউন্সিল ঠিক করবে কে হেফাজতের আমির হবেন : বাবুনগরী

প্রতিবেদক
Kolom 24
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হেফাজতে ইসলাম বাংলাশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আদর্শ বাস্তবায়ন ও অনুসরণ করবে হেফাজতে ইসলাম। আর কাউন্সিলের মাধ্যমে হেফাজতের পরবর্তী আমির এবং শুরা কমিটির মাধ্যমে আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারীর মাদ্রাসার পরবর্তী মহাপরিচালক নির্বাচিত হবেন বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ শনিবার চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি বলেন, ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে উনার পরিবারের সঙ্গে আজকে আমরাও শোকাহত। শুধু আমরা নয়, হাটহাজারী এলাকার জনগণ থেকে সারা দেশের মানুষ আজকে শোকাহত। আমি আপনাদের কাছে, বন্ধু-বান্ধবদের কাছে আরজ করছি, সবাই উনার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ-তায়ালা যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।’

জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘আল্লামা শফীর জায়গা পূরণ হওয়ার নয়। এটা অনেক কঠিন।’

হেফাজতে ইসলামের আমির কে হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘এটা তো আমি বলতে পারব না, এটা আল্লাহ তায়ালা জানেন। তবে আমরা চেষ্টা করব উনার আদর্শ বাস্তবায়ন করার। সেটা হাটহাজারী মাদ্রাসা ও হেফাজতে ইসলামের ব্যাপারেও। উনি হেফাজতের আমির ছিলেন। এখন কাউন্সিল হবে, কাউন্সিলে নির্ধারণ করা হবে কে হেফাজতে ইসলামের আমির হবেন। এককভাবে কেউ ঠিক করতে পারবে না।’

‘আর মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব তিনি জীবিত থাকাকালীন লিখে গেছেন, মাদ্রাসার শূরা কমিটি মাদ্রাসা পরিচালনা করবে। মাদ্রাসার শুরা কমিটি নির্ধারণ করবে মাদ্রাসার মহাপরিচালক কে হবেন।’ বলছিলেন বাবুনগরী।

এদিকে আজ দুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রিয় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রামসহ দেশের দূর-দূরান্ত থেকে লাখ লাখ মানুষ এই জানাজায় অংশ নিয়ে তাঁদের বড় হুজুরের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। পরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই তাঁকে দাফন করা হয়।

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজায় ইমামতি করেন তাঁর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ মাদানী। মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ পরিপূর্ণ হয়ে আশপাশে এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

আহমদ শফী বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতা ছাড়াও ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশনে ভুগছিলেন। এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হেফাজতে ইসলামের আমিরকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহমদ শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। তাঁকে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলা মাঠের পাশে অবস্থিত আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

Comments

comments