বাংলাদেশি সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে প্রাণীদেহে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
চলতি মাসেই মানবদেহে করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য সরকারের অনুমোদন চাইবে গ্লোব বায়োটেক।
শিগগিরই তারা প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট কন্ট্রাক্ট রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (সিআরও) কাছে জমা দেবে।
এরপর ভ্যাকসিনটি মানুষের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর কি না, তা পরীক্ষা করতে মানবদেহে ট্রায়ালের প্রথম পর্যায় পরিচালনার জন্য অনুমতি চাওয়া হবে।
প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রথমে খরগোশ ও পরে ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।
প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম, biorxive.org— বায়ো আর্কাইভে প্রকাশিত হয়েছে।
বায়ো আর্কাইভকে বলা হয় ‘প্রি-প্রিন্ট সার্ভার’। জীববিজ্ঞান বা চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো গবেষণার ফল দ্রুত তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা ‘প্রি-প্রিন্ট সার্ভার’ ব্যবহার করে থাকেন।
গত ২ জুলাই একটি সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯’র ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা দেয় গ্লোব বায়োটেক।
ওই সম্মেলনে তারা জানান, প্রাণীর ওপরে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল শেষ করতে ছয় থেকে আট সপ্তাহ লাগবে। এরপরে প্রাণীদেহে ভ্যাকসিনটি সফল প্রমাণিত হলেই তারা মানবদেহে ট্রায়াল পরিচালনার অনুমতির জন্য আবেদন করবেন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি গবেষণা চলছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ভ্যাকসিন তৈরির অনুমোদন পেয়েছে রাশিয়ার গামালিয়া ইনস্টিটিউট। তবে, এর চূড়ান্ত পরীক্ষা এখনো চলছে।
Comments
comments