রাজনৈতিক বিভাজনের জন্য অনেক সাংবাদিককে কারাবরণ করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমকে আইন করে বাধাগ্রস্ত করেছে সরকার, যা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) রজতজয়ন্তীর শোভাযাত্রা উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন তিনি ।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, দেশের গণতন্ত্র ও সামগ্রিক সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম গণমাধ্যম। যে দেশের গণমাধ্যম যত স্বাধীন ও শক্তিশালী, সেই দেশের গণতন্ত্র তত বেশি শক্তিশালী। দুর্ভাগ্য, আজকে সারা বিশ্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরে একটা চাপ সৃষ্টি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে সেই চাপ অনেক বেশি আমরা লক্ষ করছি। আমরা দেখেছি, শুধু রাজনৈতিক কারণে অনেক সংবাদকর্মীকে নিগৃহীত হতে হয়েছে, প্রাণ দিতে হয়েছে। তাদের অনেক সময় কারাগারে যেতে হয়েছে। সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এখন প্রায় অনুপস্থিত। এখানে মানুষের স্বাধীনতা-সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় গণতন্ত্র ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এসেছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমানে একটি ব্যতিক্রমী সংগঠন। এটা সংবাদকর্মীদের নিজস্ব সংগঠন এবং এখানে এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যে নিজেদের ডুবিয়ে দেননি। তাঁরা ২৫ বছর ধরে পেশাদার সংগঠন হিসেবে নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে পেরেছেন। এ জন্য তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে র্যালিপূর্ব সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ইলিয়াস হোসেন, ডিআরইউর বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাফর ইকবাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
Comments
comments