ঢাকাবুধবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশে ঋণের সিংহভাগই বড় কর্পোরেট হাউজগুলোর দখলে

প্রতিবেদক
Kolom 24
ডিসেম্বর ৩০, ২০২০ ৬:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

দেশের ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীর তুলনায় ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা বাড়েনি। মোট বিতরণ করা ঋণের সিংহভাগই বড় কর্পোরেট হাউজগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ। ব্যাংক খাত গবেষকরা বলছেন, ছোট ও মাঝারি শিল্প খাতে ঋণ দিতে ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম। ফলে ঋণ কেন্দ্রীভূত বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠির হাতে; যা ব্যাংক খাতের জন্য ঝুঁকি মনে করেন গবেষকরা।

দেশের অর্থনীতির সাথে সাথে বড় হয়েছে ব্যাংকিং খাতও। যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন ব্যাংক। গত এক দশকে দেশে নতুন ব্যাংক হয়েছে ১৩টি। দশ বছর আগে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৬৮ লাখ যা বর্তমানে প্রায় সোয়া তের কোটি। এই সময়ে ঋণ বিতরণের পরিমাণ আড়াই লাখ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১০ লাখ কোটি টাকারও বেশি। আর আমানতের পরিমান ৩ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ লাখ কোটি টাকা।

এই বি¯তৃতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক দাবী করছে, সকলের কাছেই সমানভাবে সেবা পৌছাচ্ছে ব্যাংক খাত।

তবে গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। টিআইবি’র এক গবেষণায় দেখা গেছে, হাতেগোনা কয়েক জনের কাছেই রয়েছে বড় অংকের ঋণের টাকা। দেশের সাতজন শীর্ষ গ্রহীতা ঋণ খেলাপি হলে ৩৫টি ব্যাংক বিপদে পড়বে। আর ১০ জন খেলাপি হলে ৩৭টি ব্যাংক মূলধন সংকটে পড়বে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, এক দশকে আমানতকারীর সংখ্যা ঋণ গ্রহীতার তুলনায় বেড়েছে ৫৬ গুন। প্রকৃত পক্ষে ঋণ বিতরণের পরিমান বাড়লেও ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা সেই তুলনায় কম।

ব্যাংক খাতের এই গবেষক মনে করেন, ছোট ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আগ্রহ কম। এসব খাতে যতোটা ঋণ দেয় তা মূলত নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর চাপ ও বেঁধে দেয়া নিয়ম রক্ষার কারনে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে গ্রামের তুলনায় শহরে ব্যাংক খাতের বিস্তৃতি ঘটেছে তিনগুন বেশি হারে। ঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি সুবিধা রয়েছে।

Comments

comments