আমানতের বিপরীতে ঋণ বিতরণে সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করেছে ১২ বাণিজ্যিক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ শেষে সীমা অতিক্রম করা ব্যাংকগুলো হলো- বেসিক ব্যাংক, এবি ব্যাংক (ইসলামী), এক্সিম ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক (ইসলামী), ইউনিয়ন ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ইত্যাদি।
২০১৭ সালের শেষ দিকে হঠাৎ করে ঋণ প্রবৃদ্ধি ব্যাপক বাড়তে থাকায় ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কমিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি এক নির্দেশনার মাধ্যমে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর এডিআর ৮৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়। ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ৯০ শতাংশ থেকে নামিয়ে আনা হয়েছিল ৮৯ শতাংশ। তবে গত বছরের (২০১৯) ১৭ সেপ্টেম্বর আগের (প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ৮৫ ও ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য ৯০ শতাংশ) হারে ঋণ বিতরণে অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইং ১১৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা আমানত সংগ্রহ করেছে। এর বিপরীতে ঋণ বিতরণ করেছে ১৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। হিসাব অনুযায়ী তাদের এডি রেশিও দাঁড়িয়েছে ১৬২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এদিকে বেসিক ব্যাংকের এডিআর পৌঁছেছে ১০৮ শতাংশে। ব্যাংকটি ১৪ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করলেও বিনিয়োগ করেছে ১৫ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবি ব্যাংকের ইসলামী উইংয়ের এডিআর এখন ৯৬ শতাংশ। যা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সীমার চেয়ে ৬ শতাংশ বেশি। এদিকে ৯০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এক্সিম ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত। ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ, এনআরবি ব্যাংক ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ঋণ-আমানত অনুপাত ৮৮ শতাংশ।
দুর্নীতির জন্য বহুল আলোচিত পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) ঋণ-আমানতের অনুপাত ১১২ শতাংশ। যদিও ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ব্যাংকটির সব রকমের ঋণ বিতরণ বন্ধ। শুধু আমানত সংগ্রহের অনুমতি থাকলেও এডিআর সমন্বয়ে তা এখনও পর্যাপ্ত নয়। সমাপ্ত বছরে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ইসলামী উইংয়ের এডিআর অনুপাত ১০৫ শতাংশ।
ইউনিয়ন ব্যাংকের ৯৫ শতাংশ, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ৮৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এডিআর ৯৭ শতাংশ।
নিজস্ব প্রতিবেদক