আজ থেকে ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। দেশের মানুষ মনে করে তার হাতে দেশ, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতির সম্পদ নিরাপদ। তিনি জেগে আছেন বলেই জাতি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কৃষক লীগের আয়োজিত বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ করে যাদেরকে আমরা পরাজিত করেছি তারাই আজ আমাদের অনুসরণ করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই একের পর এক মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে। এরপর হাতে নিচ্ছেন নতুন নতুন মেগা প্রজেক্ট। তার দূরদর্শী চিন্তা ও সুশাসনের ফলে দেশের গ্রামগুলো একেকটি শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। গ্রামে এখন গরিব খুঁজে পাওয়া যায় না। দেশ থেকে মঙ্গা শব্দটি পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহানায়ক আজ শেখ হাসিনা।
নানক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতেই সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানকে আবিষ্কার করা হয়েছিল।
১৯৭১ সালের প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করা এবং হত্যা পর ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানি শক্তি। শুধু তাই নয়, তারা তার নামকে মুছে ফেলার জন্য তার বিপরীতে সামরিজ জান্তা জিয়াউর রহমানকে আবিষ্কার করে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা করেছিল।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দুপুর ১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।পাকিস্তানি বন্দিদশা থেকে বিজয়ী ভেসে ফিরে আসেন বাঙালির এই মহানায়ক। বিকালের ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তি কী ধরনের হবে? রাষ্ট্রের কাঠামো কী ধরনের হবে? পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যারা দালালি করেছে- তাদের কী হবে? এসব বিষয়সহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
Comments
comments