রাষ্ট্রীয় বিমান পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সিবিএ (কালেকটিভ বার্গেনিং এজেন্ট) কার্যক্রম নিষিদ্ধের সময় আরও ছয় মাস বাড়ল। কারণ বিমানের চাকরি ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবার… (এসেনশিয়াল সার্ভিস)’ আওতায় থাকছে আরও ছয় মাস। এ জন্য গত ১ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৪ মার্চ সিবিএস কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিমানে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১৯৫৮ সালের এসেনশিয়াল সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্সের ক্ষমতাবলে বিমানের কর্মীদের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সেবার… আওতায় আনা হয়। এরপর দফা দফায় ছয় মাস করে সময় বাড়ানো হচ্ছে।
সর্বশেষ ছয় মাস মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৩ মার্চ। শ্রম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব অশোক কুমার স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে,… অত্যাবশ্যকীয় সেবা ঘোষণার প্রযোজ্যতার মেয়াদ ১৪ মার্চ থেকে আরও ছয় মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের অধীনস্থ সব শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে এসেনশিয়াল সার্ভিসেস অর্ডিন্যা…ন্সের প্রযোজ্যতার মেয়াদ ১৩ মার্চ শেষ হবে। কিন্তু বিমানের সব শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে এই অধ্যাদেশের প্রযোজ্যতার প্রয়োজনীয়তা এখনও রয়েছে।
এসেনশিয়াল সার্ভিসেস অর্ডিন্যান্সের আওতায় আসার কারণে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ঊর্ধ্বতনদের কোনো নির্দেশ অমান্য করতে পারবেন না। কর্মবিরতি, ধর্মঘট ডাকতে পারবেন না, বিনা নোটিশে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবে না। এসব কাজ করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এই অর্ডিন্যান্সের অধীনে কেউ অপরাধে করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
“বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে… কর্মরত অনেক সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে আদম ও মুদ্রাপাচার, চোরাচালানসহ নানান ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা বদলি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিবিএ নেতাদের হাতে হেনস্তা হয়েছেন, পড়েছেন আন্দোলনের মুখে। ওই প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালে সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাকরি ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবার (এসেনশিয়াল সার্ভিস)’ আওতায় আনা হয়।”
Comments
comments