সামাজিক, শারীরিক ও অবকাঠামোগতসহ সকল দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর তাদের নিজেদের দেশ মিয়ানমার থেকেও নিরাপদ বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।…
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, “আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘূর্ণিঝড়ের পথ নিয়ে স্টাডি করে দেখেছি, ঠিক দ্বীপটির উপর দিয়ে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের পথ যায়নি। আছে দ্বীপটির দুই পাশে। এখন যদি ১৯৭০ সালের মতো ঘূর্ণিঝড়ও হয় সেটাকেও মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা এই দ্বীপে রাখা হয়েছে। কারণ সরকার এখানে ১৯ ফিট উচ্চ বাঁধ দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। এছাড়াও বন, ওয়েভ ব্রেকারসহ এখানে চার ধরনের বেরিয়ার থাকার কারণে ৭০ সালের মতো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।”
শনিবার (৬ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের ‘বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর: সুবিধা এবং প্রতিকূলতা’ শীর্ষক গবেষণার ফল প্রকাশে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।…
তিনি বলেন, “২০১৭-১৮ সালের ইউএনএইচসিআর ও আমার বিভাগ (আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস) একটি গবেষণা করেছিল। তাতে দেখা যায় যে, রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে যে সব জায়গায় রয়েছে তাতে যেকোনো সময় পাহাড় ধস ও ভূমি ধসের কারণে লক্ষাধিকেরও বেশি মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তবে এখন রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচর নিরাপদ।”…
Comments
comments