কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। সেটি সংবিধানে…সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। দেশে কোনো নিরপেক্ষ সরকার হবে না। কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বাংলাদেশে হবে সাংবিধানিক সরকার। সংবিধানের আলোকে আগামী নির্বাচন হবে।
শনিবার সকালে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। যে নির্বাচন কমিশনের উপরে কোনো সরকার, কোনো প্রধানমন্ত্রী, কোনো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা নেই। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে কোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না…। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সামরিক বাহিনী স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। এর ফলে সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের এখনো আড়াই বছর বাকি রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত তাদের দুঃশাসন, অপশাসন…, সন্ত্রাস ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করার কারনে তাদের পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে গেছে। তাদের সাথে জনগণ নেই। তারা আন্দোলনের ডাক দিলে জনগন সারা দেয় না।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন দেখে আমরা ভয় পাই না। বিএনপি ২০১৫ সালে ৯০ দিনের হরতাল অবরোধে নামে ৫শ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এর থেকে বর্বরতা ও সহিংসতা কি হতে পারে। শত শত গাড়ি পুড়িয়েছে। ৯০ দিন দেশকে অচল করে রেখেছিলো….। সে সকল সন্ত্রাস মোকাবেলা করে দেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের জন্য সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ প্রসংসিত হচ্ছে। সারা পৃথিবী আমাদেরকে সেলুট করে।
চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশের ব্যাপারে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটি নিয়ে বিরাট ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে। সত্য উদঘাটন হচ্ছে। আশা করি হয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ এই সরকার গঠন করে উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে অভুত উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশে আজকে খাদ্যের কষ্ট ও হাহাকার নেই। করোনা মহামারির মধ্যেও উন্নত দেশের মানুষ হিমশিম খাচ্ছে…। জীবন ও জীবিকাকে সন্বয়ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি সুন্দর অবস্থানে রেখেছে। যার কারণে দেশে বিপর্যয় আসেনি।
এরপর তিনি শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর খান বীর বিক্রমের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
জেলা শ্রমিক ফেডারেশনর সভাপতি বালা মিয়ার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাবেক নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, টাঙ্গাইল-৫ আসনের ছানোয়ার হোসেন.., টাঙ্গাইল-২ আসনের তানভীর হাসান ছোট মনির, বিশিষ্ট্য কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহাবুব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মো. এনায়েত করিম প্রমুখ।
Comments
comments