ঢাকাশুক্রবার , ২৬ জুন ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুন ২৬, ২০২০ ১:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের টাকার পাহাড় বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশটির ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের আমানত ছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। এক বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত সামান্য কমেছে।

যদিও কালোটাকার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় ভারত-পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সুইস ব্যাংকে আমানত অনেক বেশি কমেছে। এর মধ্যে ভারতের আমানত কমেছে প্রায় ছয় শতাংশ। সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়।

সূত্রমতে, ধনীদের অর্থ, গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুযুগের খ্যাতি সুইজারল্যান্ডের। প্রায় ২০০ বছর ধরে, এ ধরনের ব্যাংকিং সেবার কেন্দ্র ইউরোপের দেশটি। ৮০ লাখ মানুষের দেশে, ব্যাংকের সংখ্যা ২৪৬টি। গ্রাহকের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর তারা। ধারণা করা হয়, অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে।

সুনির্দিষ্ট গ্রাহকের তথ্য না দিলেও কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশিদের আমানত দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ সুইস ফ্রাঁ; দেশি মুদ্রায় যা পাঁচ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। ঠিক এক বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে এ অঙ্ক ছিল ৬১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ বা পাঁচ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে এক কোটি ৪৭ ফ্রাঁ বা ১২৬ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে গোপনীয়তা কিছুটা কমায়, অনেকে এখন অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য ঝুঁকছেন লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা কিংবা বারমুডার মতো ট্যাক্স হ্যাভেনের দিকে।

সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের গত ১০ বছরের হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি টাকা জমা করেছেন বাংলাদেশিরা। সে বছর বাংলাদেশিদের জমানো অর্থ বেড়েছিল প্রায় এক হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৭ সালে দেশটিতে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ ছিল চার হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।

সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনো বাংলাদেশি, নাগরিকত্ব গোপন রেখে অর্থ জমা রেখে থাকলে, ওই টাকা এ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত নয়। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি এ প্রতিবেদনে।

যদিও সুইস ব্যাংকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশের আমানত কমেছে অনেক। পাঁচ বছরে ভারতীয়দের জমা কমেছে অর্ধেক। মাত্র দু’বছরে পাকিস্তানিদের আমানত কমেছে এক-তৃতীয়াংশ।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) হিসাবে, বছরে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়। এর কিছু অংশ সুইস ব্যাংকে পাচার হচ্ছে। বাকি অর্থে যাচ্ছে অন্যান্য দেশে।

Comments

comments