ঢাকাশুক্রবার , ১৪ আগস্ট ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকাতেও আ.লীগ নেতার ভাগ!

প্রতিবেদক
Kolom 24
আগস্ট ১৪, ২০২০ ১:১৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের এক অচ্ছল প্রতিবন্ধীর ভাতার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ওই ভোক্তভুগি অচ্ছল প্রতিবন্ধী রিনা আক্তার পাঁচজনকে আসামী করে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে গত রবিবার রাতে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সাথে জড়িতদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের তিন ক্যাটাগড়িতে ভাতা প্রদান করে সরকার। আর সেই ভাতার টাকা উত্তোলণের সময় জোড়পূর্বক অর্থ হাতিয়ে নেয় বনগ্রাম ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী মুখলেছ মিয়া। স্থানীয় সোহাগ কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের টাকা ও বই বিতরণ করা হয়। এসময় প্রত্যেক প্রতিবন্ধী ৯০০০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করে। সেখানে কামরুজ্জামান ও মুখলেছ মিয়া ভাতা পরিশোধের বহি: প্রদান করে তাদের ফোনে ছবি ধারন করে। এসময় ৩০জন প্রতিবন্ধীর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জোড়পূর্বকভাবে আত্মসাত করে উল্টো হুমকি প্রদান করেন কামরুজ্জামান ও তার সহযোগী মুখলেছ মিয়া।

একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিবন্ধীদের কার্ড করতে গিয়ে অনেকেরই গুনতে হয়েছে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। প্রশাসন বারবার সচ্ছতার কথা শিকার করলেও মাঠ পযার্য়ে সচ্ছতার নামে চলছে টাকা আদায়ের মহোৎসব। সমাজসেবা কাযার্লয়ের দায়সারা তদারকি আর স্থানীয় দালালদের উৎপাতের ফলে এমন অহরহ ঘটনা ঘটছে বলে সূত্র জানায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুজ্জামান ও মুখলেছ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

অভিযোগকারী প্রতিবন্ধী রিনা আক্তার জানান, ‘মুখলেছ মিয়া বনগ্রাম ইউপির পিয়ারা কান্দি গ্রামের সিদ্দিক ভূইয়ার বাড়ীর সাথের মমিনের দোকানে যেতে বলে। ওই সময় তার কথা মতো যাওয়া হলে স্থানীয় সোহাগ কম্পিউটারে টাকা ও বই বিতরণ করে। পরে আমার কাছ থেকে জোড়পূর্বকভাবে ৯ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে এক হাজার টাকা ফেরত দেয়। আর বাকি ৮ হাজার টাকা নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় কটিয়াদী মডেল থানায় একটি মামলা করেছি বলে জানান।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবন্ধী জানান, ‘সমাজসেবা অফিসে ২ হাজার টাকা দিলে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড হয়, টাকা না দিলে কার্ড করা যায় না। যারা টাকা দিতে পারে তাদের কার্ড হয়, যারা টাকা দিতে ব্যর্থ তাদের কার্ড হয় না।’

স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দিন জানান, ‘ যারা প্রতিবন্ধীদের অর্থ আত্মসাত করতে চায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।’

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ মঈনুর রহমান মনির জানান, ‘প্রতিবন্ধীদের কার্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে। যদি আমার অফিসের কোন কর্মচারী দালাল চক্রের সাথে জড়িত থাকে তা যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকতারুন নেছা বলেন, ‘উপযুক্ত প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

Comments

comments