ঢাকারবিবার , ১১ অক্টোবর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, নবাবগঞ্জে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ, থানায় মামলা দায়ের

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ১১, ২০২০ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

সারাদেশ যখন ধর্ষণ মহামারিতে উত্তাল-ঠিক সেই সময় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামে প্রেম ভালোবাসা ও পরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে ১৬বছর বয়সী এক কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোঃ ফিরোজ কবির(২৫) পিতা মোঃ আব্দুল হাকিম (দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি প্রবাসী) সাং মনিরামপুর, থানা-নবাবগঞ্জ, জেল-দিনাজপুর এজাহারে উল্লেখিত ঐ কলেজ ছাত্রীর প্রতিবেশী ও সম্পর্কে মামা। প্রতিবেশী ও মামা সম্পর্কের সূত্রধরে প্রায়ই প্রেমভা লোবাসার প্রস্তাব দিত মোঃ ফিরোজ কবির। এক পর্যায়ে প্রেম ভালোবাসায় রাজি হয় ঐ ছাত্রী। প্রেম ভালোবাসা চলতে থাকার এক পর্যায়ে প্রায় সময় টিভি দেখার জন্য ছাত্রীটি মোঃ ফিরোজ কবিরের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতো। সুযোগ বুঝে বিয়ের প্রলোভনে মোঃ ফিরোজ কবির ছাত্রীটিকে একাধিকবার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। সর্বশেষ গত ১০/০৭/২০২০ইং তাং বেলা ১১টায় ছাত্রীটি মোঃ ফিরোজ কবিরের বাড়িতে টিভি দেখতে গেলে আবারও জোর পূর্বক ধর্ষণ করে মোঃ ফিরোজ কবির। গত ৩০/০৯/২০২০ইং তাং সন্ধ্যায় ছাত্রীটি মোঃ ফিরোজ কবিরকে বিয়ের কথা বললে মোঃ ফিরোজ কবির ছাত্রীটিকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাইয়া বলে ছাত্রীটির সাথে মোঃ ফিরোজ কবিরের অন্তরঙ্গ মূহুর্তের তোলা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে। তখন ছাত্রীটি তার পরিবারের লোকদের কাছে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে গত ০৫/১০/২০২০ই তাং ঐ ছাত্রী বাদী হয়ে মোঃ ফিরোজ কবিরকে আসামী করে ধর্ষনের অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে, নবাবগঞ্জ থানার মামলা নং ০২,তাং০৫/১০/২০২০ইং।

এদিকে অভিযুক্ত মোঃ ফিরোজ কবিরের পরিবারের দাবী তাদের ৩ মেয়ে ১ ছেলে। (ছাত্রীর) তাদের পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিন যাবৎ সুসম্পর্ক ছিল। সময়ে অসময়ে আমাদের কাছে তারা টাকা ধার নিত,ফেরতও দিত। কিন্তু ওরা তাদের জমি বিক্রি করার কথা বলে আমাদের কাছে টাকা নিয়ে অস্বীকার করায় তাদের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। স্থানীয় মহৎ প্রধানরা পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে সালিস বৈঠক করে। সালিস বৈঠকে তর্ক বিতর্কের এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক হলে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঐ ঘটনায় ছাত্রীর মা মেছাঃ মরিয়ম বেগম,স্বামী মোঃ মুর্তুজা মন্ডল থানায় ৫জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দেয় অভিযোগে বলেন, আসামীগন সংঘবদ্ধ সুদেও ব্যবসায়ী। পক্ষান্তরে আমার স্বামী একজন দারিদ্র ব্যক্তি আমি কিছু দিন পূর্বে যুক্ত ৩নং আসামীর নিকট থেকে সুদেও কিছু টাকা গ্রহন করি। উক্ত গ্রহন কৃত টাকা আমি পরিশোধ করিয়ছি। কিন্তু বিবাদীদের দাবী কৃত সুদেও টাকা র্বতমানে আমার দেয়ার মতো সার্মথ্য না থাকায় আমি আমি উক্ত টাকা প্রদানের জন্য কয়েক দিন সময় লই। কিন্তু বিবাদীরা আমাকে কোন প্রকার সময় না দিয়া বরং কিক্ষপ্ত হইয়া গত ইং ২৭/০৯/২০২০তারিখে বেলা অনুমান ১১টার সময় উপরোক্ত সকল বিবাদীগন সহ আরো ৪/৫জন ভাড়াটিয়া লোকজন বাড়ীর ভিতওর আসিয়া আমার উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হইয়া সকল বিবাদীগন আমাকে এলোপাতাড়ি বাশেঁর লাঠিদ্বারা দ্বারা বেদম মারপিটকরিয়া শরিরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও কালশিরা জখম করে।

নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ অশোক কুমার চৌহান মুঠো ফোনে জানান, মেয়েটিকে ৭ মাস পূর্বে ধর্ষণ করা হয়েছিল, এতদিন বিষয়টি গোপন ছিল। টাকা লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় ধর্ষনের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

Comments

comments