ঢাকামঙ্গলবার , ১৩ অক্টোবর ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আড় চোখে চোখ মেরেই ঘটনা ঘটালেন, ইউপি চেয়ারম্যান সাজলেন চোর

প্রতিবেদক
Kolom 24
অক্টোবর ১৩, ২০২০ ৮:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আসছে আগামী ২০ শে অক্টোবর রংপুর সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ বছর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো ইউনিয়নে চলছে ভোটের আমেজ, প্রার্থীদের মধ্যে চলছে কাদা ছোড়াছড়ি। ভোট উপলক্ষে সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ঢোল মার্কা প্রতিকে নির্বাচন করছেন সোহেল রানা। ১২ই অক্টোবর ইউনিয়নের সরদারপাড়ায় নির্বাচনি প্রচারণায় তাকে চোর সাজানোর গল্প তুুুুলে ধরেন।

এ সময় তিনি বলেন- র‌্যাবকে আড় চোখে চোখ মারলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নাছিমা জামান ববি। এসময় তিনি আরও বলেন- হঠাৎ মধ্য রাতে আমার কাছে ফোন আসে আমি রিসিভ করি। আমাকে বলে চেয়ারম্যান সাহেব আপনার ইউনিয়নে একটি অপ্রতিকর ঘটনা হয়েছে আপনি কি জানেন? আমি বলি না!তখন তারা বলেন চেয়ারম্যান সাহেব আপনাকে যে একটু পরিষদে আসা লাগবে? আমি তখন সেহরি ও নামাজ শেষ করে নুরআলমকে নিয়ে পরিষদে যাই। র‌্যাবের অফিসার আমাকে প্রশ্ন করে চেয়ারম্যান সাহেব আপনি কিভাবে চাল বিতরণ করছেন।তখন আমি ম্যানুয়াল ও রেজুলেশন অনুযায়ী বিতরণ করেছি। আমি পকেট থেকে নুরআলমকে চাবি দিয়ে পরিষদ থেকে কাগজপাতি ও ম্যানুয়াল নিয়ে আসতে বলি। তখন র‌্যাবের ঐ অফিসার আমাকে বলে চেয়ানম্যান সাহেব আপনাকে একটু আমাদের সিও সাহেবের কাছে যেতে হবে। আপনি আপনার গাড়িতে যাবেন না আমাদের গাড়িতে যাবেন? তখন আমি সরল মনে তাদের গাড়িতে চড়ি। গাড়ি চড়ে আমাকে হাজারও বার আমাকে জিঙ্গেস করেছে-চেয়ারম্যান সাহেব উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে আপনার কি হয়েছে। আমি বলেছি তাদের সাথে তো আমার কিছুই হয়নি।

আমি যখন তাদের গাড়িতে চড়ি তখন কিছু সাংবাদিক ভাই আসলেন আর আমার ছবি তুলছেন। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন পালিচড়া বাজার থেকে শহরের দ্রুত কত? ১০-১১ কিলোমিটার। আমার কোন ভাই যদি অসুস্থ হয় তবুও শহরে যেতে কমপক্ষে আধা ঘন্টা সময় লাগবে। অর্থ্যাৎ কারসাজি সব উপজেলা চেয়ারম্যানের। তিনি ঘটনার আগের দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মতিন চেয়ারম্যানের বাড়িতে এসে সব মেকানিজাম করছে।

২০১৯ সালের রমজান মাসে ইউনিয়নের চাল বরাদ্দ পাই ৬২৯০ সিলিপ। প্রতেকটি লোক ১৫কেজি চাল পাবে। উপজেলা চেয়ারম্যানকে দেই ১২০০ সিলিপ, ইউনিয়ন আওয়ামীলকে ২০০ সিলিট, জাপাকে ১৪০ সিলিপ, ইউনিয়নে যত ফকির তাদেরকে ১০০ সিলিপ, ইউনিয়নের পাচটি পয়েন্টের পাহাদের ও বাজারের পাহাদারদের দেই ১৭০টি সিলিপ,পরিষদের গ্রামপুলিশ, ঝাড়ুদার ও কাজের ছেলে তাদের দিয়েছি ৫০টি সিলিপ, তিনজন মহিলা সদস্যকে দিয়েছি ৬০০ সিলিপ, নয়টি ইউপি সদস্যদের রেশীয় করে বন্টন করে আমার ভাগে ছিলো ৬৮০ সিলিপ। ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে ৯৬টি পাড়ায় আমার কিছু কর্মী আছে তাদের মাঝে বিতরণ শেষে আমার কাছে থাকে ৩৮০ সিলিপ। এখন কথা হচ্ছে আমি চাল বিক্রি করেছি। ৩৮০ সিলিপের হয় ৪৪০ বস্তা। তাহলে চাল ধরা পড়ছে ৭৯৭ বস্তা অর্থ্যাৎ ৮০০ বস্তা তাহলে বাকি ৪৬০ বস্তা চাল কোথা থেকে আসলে। এই প্রশ্ন তিনি ভোটারদের মাঝে জুড়ে দেন?

Comments

comments