ঢাকাবুধবার , ১১ মার্চ ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কটিয়াদীতে ৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি ভাঙা ব্রিজ

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ১১, ২০২০ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি একটি ভাঙা ব্রিজ। সামান্য বৃষ্টিপাতে ৩০ মিটারের ব্রিজটি পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া ব্রিজ নির্মাণে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরও নেই কোনো উদ্যোগ। ফলে এলাকার শিক্ষা ও উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। একই সঙ্গে ৪টি গ্রামের মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের মানিকখালী পাছপাড়া খালের ওপর ৮ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। সামান্য বৃষ্টিপাতে ভেঙে পড়া সেই ব্রিজের ধ্বংসাবশেষ দেখে এখন শুধু আক্ষেপ করেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

সূত্র জানায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ত্রাণ অধিদপ্তরের নির্মিত ব্রিজটি ধসে পড়ে। আট বছর আগে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এর ভূমি জরিপ, পানি প্রবাহ জরিপ ও মাটি পরীক্ষা না করেই অপরিকল্পিতভাবে এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ব্রিজটি ধসে পড়ে। ব্রিজ নিমার্ণের পরেই ব্রিজের সঙ্গে একটি ঘরও ভেঙে পড়ে। এরপর সেখানে আর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে এমনিভাবে পড়ে আছে ব্রিজের খণ্ডিত অংশ। আজো স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সব পেশার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই ভাঙা ব্রিজটি দিয়েই কোন রকম হেঁটে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। আবার কেউ কেউ ব্রিজটির এপার ওপার মোটর সাইকেল থামিয়ে ব্রিজটি পার হচ্ছেন। বিশেষ করে ব্রিজের ওপারে পাছপাড়া গ্রামের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় শিক্ষার্থীদের চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়, ব্রিজটি ধসে পড়ার পর পাছপাড়া গ্রামসহ আরো ৩টি গ্রামের প্রায় হাজার হাজার লোক ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন। ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় চার গ্রামের মানুষকে প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে চান্দপুর মানিকখালী হয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়।

পাছপাড়া গ্রামের হৃদয় চন্দ্র সরকার জানান, এই ভাঙা ব্রিজটি দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের হেঁটে স্কুল ও মাদ্রাসায় যেতে হয়। এলাকার মানুষকে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হয় উপজেলা শহরে। ব্র্যাক স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, একটি ব্রিজের কারণে আমাদের হেঁটে স্কুলে আসতে হয়। ব্রিজ না থাকার কারণে রিকশা, হ্যালোবাইক ও সিএনজি চলাচল করে না।

চান্দপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন বলেন, ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করায় ব্রিজটি ধসে পড়ে। এতে করে দেবালেরকান্দা ও পাছপাড়া গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ বেড়েছে। আগে রিকশা-ভ্যান চলাচল করত। ব্রিজটি ধসে যাওয়ার দীর্ঘ সময়েও নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, অপরিকল্পিত ভাবে ব্রিজটি নিমার্ণ করা হয়েছিল। যার ফলে ব্রিজটি অল্প দিনেই ভেঙে যায়। তবে কিছু দিনের মধ্যে দুটি প্রকল্পের অর্ন্তভূক্ত এনে ভাঙা ব্রিজটি নিমার্ণ করার জন্য প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেন জানান এই কর্মকর্তা।

কিশোরগঞ্জ এল.জি.ই.ডি’র নির্বাহী  প্রকৌশলী এ.কে.এম আমিরুজ্জামান বলেন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ত্রান ও পুর্নবাসন অধিদপ্তরের অধীনে একটি প্রকল্পে ব্রিজটি নির্মিত হয়। ৩ বছর আগে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ব্রিজটি নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি পাশ হয়ে গেলে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো।

নিজস্ব প্রতিবেদক ও কটিয়াদী প্রতিনিধি (কিশোরগঞ্জ)    

Comments

comments