ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাটোরে যৌন হয়রানির ঘটনায় সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

প্রতিবেদক
Kolom 24
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১ ৩:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রীর ওপর যৌন নিপিড়নের ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ী সকলের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অবিভাবক সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধন থেকে ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।

গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর ছোট বোনকে ভর্তি করাতে গিয়ে ওই স্কুলের অফিস সহকারির যৌন নিপিড়নের শিকার হয় ওই কলেজরই ছাত্রী। এ ঘটনায় মামলা হহলে অভিযুক্ত অফিস সহকারি রেজাউলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে প্রমাণ পেলেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামেন এলাকাবাসী।

শিক্ষা বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ও নাটোরের জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ জানান, তদন্তে অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে দেড় লাখ টাকায় মিমাংসা সত্যতা মিলেছে। এ কারনে অধ্যক্ষের অপসারণ ও ম্যানেজিং কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হবে। তবে তদন্ত কমিটির প্রধান ও শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দের বিরুদ্ধে দুর্বল ও পক্ষপাতমূলক তদন্তের অভিযোগ উঠেছে। বুধবারের মানববন্ধন থেকেও এমন অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগে দাবি করা হয়,ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সাথে জড়িত  শিক্ষক প্রবীর কুমারসহ অভিযুক্ত অন্যদের  কৌশলে বাদ দেয়ার চেষ্টা করেছে তদন্ত কমিটি। হাতিয়ান্দহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কলেজ শাখার শিক্ষক প্রবীণ কুমার পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বাদি-বিবাদি আপোষ করলে অন্যদের কি যায় আসে।

তবে জেলা শিক্ষা অফিসার বলেছেন যৌন নিপিড়ন বা হয়রানির ঘটনা আপোষ মিমাংসার সুযোগ নাই। তবে তদন্ত শেষে জেলা শিক্ষা অফিসার তার আগের অবস্থান পরিবর্তন করায় দোষীদের পার পেয়ে যাওয়ার পথ তৈরী হয়েছে বলে মনে করেন অভিভাবকরা। এসময় বক্তব্য রাখেন ফিরোজ  আলী প্রাং, সাইদুল ইসলাম,রাজা মাহমুদ,হাওয়া বেগম সহ অন্যান্যরা।

হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব উল আলম জানান, যৌন নির্যাতন বা এ ধরনের ঘটনা সালিস মিমাংসা করার এখতিয়ার আদালত ছাড়া কারো নাই। তারপরও অধ্যক্ষসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বসে দেড় লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছে। যা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটেই কাম্য ছিলনা বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান।

Comments

comments