ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ মার্চ ২০২০
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাটোরে গোপনে কোচিংয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ১৯, ২০২০ ১:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

করোনা প্রতিরোধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা মানছে না নাটোরের কোচিং সেন্টারগুলো। গত ১৬ মার্চ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়মিত অভিযান ও অবহিতকরন কর্মসূচির মাধ্যমে সবাইকে সচেতন করার কথা বলেন উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে কোচিং সেন্টার বন্ধের সরকারি নির্দেশনা জারির পর কৌশল পাল্টে সন্তানকে কোচিংয়ে পাঠাচ্ছেন নাটোরের কতিপয় অভিভাবকরা। স্কুল ব্যাগের পরিবর্তে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করছে শপিং ব্যাগ। যেন বাইরে থেকে কেউ বুঝতে না পারে ব্যাগের ভেতরে রাখা আছে বই। এমন দৃশ্য দেখা যায় জেলার কলেক্টরেট স্কুলের সামনে। শপিং ব্যাগে বই নেয়া এক শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হয়ে সে জানায়, কোচিং সেন্টারের ম্যাডাম বলেছে, স্কুল ব্যাগ আনবে না। শপিং ব্যাগে করে বই আনবে। তাহলে কেউ বুঝতে পারবেনা ব্যাগের ভেতরে বই আছে।

এ বিষয়ে কালেক্টরেট স্কুলের ঐ শিক্ষিকার মুখোমুখি হলে তিনি জানান, অভিভাবকদের পীড়াপীড়িতে বাচ্চাদের পড়াচ্ছি। শপিং ব্যাগে বই আনার কথা অস্বীকার করেন তিনি। এছাড়া শহরের বলারীপাড়ায় গিয়ে দেখা যায় বহু শিক্ষার্থীর আনাগোনা। এটা স্কুল নাকি কোচিং সেন্টার? প্রথম দেখাতে গোলক ধাঁধায় পড়বেন যে কেউ। করোনা মোকাবেলায় জনসমাগম পরিহার করতে বলা হয়েছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বিপুল পরিমান শিক্ষার্থীদের আনাগোনা ব্রাইট ফিউচার কোচিং সেন্টার ও পাশের শামীম কোচিং সেন্টারে। এ বিষয়ে সচেতন নয় শিক্ষার্থী ও কোচিং সেন্টারের পরিচালকরা।

করোনার সতর্কতার মধ্যে নিষেধাজ্ঞার অমান্য করে কোচিং পরিচালনা ঠিক হয়নি স্বীকার করে ব্রাইট ফিউচার কোচিংয়ের পরিচালন নজিবুল ইসলাম বলেন, তার ভুল হয়েছে। সাংবাদিকদের দেখে কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এসে বলেন, তাদের ভবিষতের ক্যারিয়ারের কথা ভাবতে হবে। এখনোতো করোনা মহামারি আকার ধারণ করেনি। কোচিং সেন্টার বন্ধ করতে হবে কেন?

তবে সচেতন অভিভাবকরা বলছেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নাটোরের কেউ করোনা আক্রান্ত না হলেও ২৩ জনকে হোম কয়ারেন্টইনে রাখা হয়েছে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় সন্তানদের কোচিংয়ে পাঠানো বন্ধ করার উপর জোর দেন তারা।

গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে মাঠে নামে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু হাসান। অভিযান পরিচালনা করে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং পরিচালনার দায়ে দুই সেন্টারের পরিচালককে ২০ হাজার টাকা জড়িমানা করেন। এসময় আরও তিন শিক্ষককে আটক করে কোচিং করাবেনা মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা কথা হবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

 

নাজমুল হাসান, নাটোর প্রতিনিধি 

Comments

comments