ঢাকাশনিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শহীদ মিনার পেল ১৪৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রতিবেদক
Kolom 24
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১ ৭:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না। ফলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটিতে কলাগাছ কিংবা বাঁশ-কাঠ দিয়ে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবস পালন করা হতো। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করে দিবস পালন করা হতো। এবার বিজয় দিবসে স্থায়ীভাবে নির্মিত স্মৃতির মিনারে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাবে শিক্ষার্থীরা। তাদের এ সুযোগ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ। এডিবির ক্ষুদ্র মেরামত ও সামাজিক সহযোগিতার অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে তৈরি করে দেয়া হয়েছে শহীদ মিনার। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোনো শহীদ মিনার ছিল না। এরপরই উপজেলা শিক্ষা বিভাগ উদ্যোগ নেয় মুজিববর্ষে শহীদ মিনার নির্মাণের। উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১৯-২০ অর্থবছরে ক্ষুদ্র মেরামত এবং স্থানীয় সহযোগিতার টাকায় সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্প্রতি বরাদ্দ এলে দ্রুত উপজেলার ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার। প্রত্যেকটি শহীদ মিনার নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলার কাঞ্চনডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুনুর রশিদ জানান, শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা খুশি। এবার শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম এ প্রতিবেদক কে জানান, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি কোমলমতি শিশুরা যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে এবং দিবসগুলোর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে, সেজন্য শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগে শহীদ মিনার ছিল না। উপজেলা শিক্ষা বিভাগের ক্ষুদ্র মেরামত ও স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে শহীদ মিনার তৈরি করে দেয়া হয়েছে। খুব সুন্দর কাজ হয়েছে। বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় এখন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় দিবসগুলোর তাৎপর্য ও শহীদদের সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।

Comments

comments