আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান থাকলেও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে তা যথাযথভাবে প্রদর্শন করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোন তদারকি না থাকায় সরকারের বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের মনগড়া বিধানে পতাকা উত্তোলন করেছে কেউ কেউ। শহীদ দিবসে এমন ঘটনা কারো কাছেই কাম্য নয় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
-
খোদ কটিয়াদী পৌরসভায় মানা হয়নি পতাকা উত্তোলনের বিধান
-
তদারকি না থাকায় ৬০ শতাংশ পতাকা উত্তোলনে হ-য-ব-র-ল
-
জনমনে ক্ষোভ
জানা গেছে, জাতীয় পতাকা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের নিদর্শন। তাই সব সরকারি ভবন, অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভবনে সব কর্মদিবসে পতাকা উত্তোলনের বিধান রয়েছে। তাছাড়া শহীদ দিবসে সরকার প্রজ্ঞাপিত অন্যান্য দিবসেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার বিধান করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, পতাকা উত্তোলনের আগে পতাকাটি পুরোপুরি উত্তোলন করে অর্ধনমিত অবস্থানে আনতে হবে এবং পতাকা নামানোর আগে পতাকাটি শীর্ষে উত্তোলন করে নামাতে হবে। কিন্তু, এর কোনটাই এখানে করা হয়নি। বরং শহীদদেের অবমাননা করা হয়েছে।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কটিয়াদী পৌরসভা, সরকারি মৎস হ্যাচারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাব-রেজিষ্টি অফিস, পূবালী ব্যাংক, পৌর ভূমি অফিস, কটিয়াদী বাজারের দোকান পাটে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখা যায়, বাজারের অনেক ব্যবসায়ী তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকার প্রস্থ অনুযায়ী অর্ধনমিত বিধান মানেননি। যে যার ইচ্ছা মতো করে শহীদ দিবসে পতাকা উত্তোলন করেছেন। কেউ কেউ বাঁশের চিকন খুঁটি, চিকন পাইপ, জানালার মধ্যে পতাকা বেঁধে রেখেছে। শুধু তাই নয়, খোদ কটিয়াদী পৌরসভার পতাকাটিও অর্ধনমিত নিয়ম অনুযায়ী উত্তোলন করা হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস। পতাকা বিধিমালা অনুসারে এই দিনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। অনেকেই এই নিয়ম জানে, আবার অনেকেই জানে না। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিরা এটি তেমন মানে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, শহীদ দিবসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। এটা দুঃখজনক।
কটিয়াদী পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে অফিসে যায়নি। পতাকা উত্তোলনে অর্ধনমিত বিধান না মেনে পতাকা টানানোর বিষয়টি দুঃখ জনক। আমি এখনই খোঁজ নিচ্ছি বলে জানান তিনি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. আকতারুন নেছা জানান, ‘স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও কেউ যদি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত বিষয়টি না জানে তাহলে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া কিছু করার নেই বলে জানান তিনি। ‘
Comments
comments