ঢাকামঙ্গলবার , ২ মার্চ ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাঠালিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের ঘুষের ঘটনা তদন্তে কে ফাঁসছেন, এসিল্যান্ড না নাজির ?

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ২, ২০২১ ২:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদলতের ভয় দেখিয়ে ঘুষ নেয়ার ঘটনা আজ ৩ মার্চ বুধবার তদন্ত হতে যাচ্ছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলামের নির্দেশে এ তদন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেনের কার্যালয়ে ০৩ মার্চ বিকাল ৩ টায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এ ঘটনায় কে ফাঁসছেন, এসিল্যান্ড না নাজির?

অনুসন্ধানে দেখা গেছে এসিল্যান্ড সুমিত সাহা কাঠালিয়া উপজেলায় ৩ মাস চাকুরীর সময় তার ভাই সহ একাধিক নিকট আত্মীয়র নামের ব্যাংক হিসাবে লাখ লাখ টাকা কাঠালিয়া থেকে পাচার করেছেন। এ ঘটনার দীর্ঘ সময়ের মধ্যেও কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ঐ সকল ব্যাংক হিসাবের নথি তলব কিংবা অন্যকোনো ব্যবস্থা এখনও গ্রহণ করেননি। অপরদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এস.এম. ফরিদ উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নাজির কাম ক্যাশিয়ার মোঃ মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন অভিযুক্ত এসিল্যান্ড সুমিত সাহাকে

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাদিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তরা পার পাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে সরকারি উচ্চ পর্যায় বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে দৌড়ঝাঁপ করছেন। উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে অভিযুক্তরা পার পেয়ে যাচ্ছেন নাকি, এসিল্যান্ড না নাজির কে ফাঁসছেন এ তদন্তে ?

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম গত ০৮ ফেব্রুয়ারী এক চিঠিতে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসককে সহকারী কমিশনার ভূমি সুমিত সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশের ৪ দিন পরে ১৫ ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসিল্যান্ড সুমিত সাহার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন কে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের ১০ দিন পরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামাল হোসেন উভয় পক্ষকে ৩ মার্চ ২০২১ বিকাল ৩ টায় তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।

দীর্ঘ ২২ বছর পর গত ০৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সুমিত সাহা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে কাঠালিয়া উপজেলায় যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি ভূমি অফিস ঘুষের আখড়ায় পরিনত করেছেন। অনুসন্ধ্ানে জানাগেছে সুমিত সাহার ভাই রবিন সাহার ওয়ান ব্যাংক লিঃ, এ গত ২৪ জানুয়ারী ২০২১ এক লক্ষ টাকা জমা করা হয়েছে, একওই দিনে অন্য এক নিকট আত্মীয় সিবানী সাহা, যমুনা ব্যাংক লিঃ, এ দুই লক্ষ টাকা পাঠানো হয়েছে। এসিল্যান্ডের নিজ একাউন্ট ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ এ গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ ত্রিশ হাজার, ৩১ ডিসেম্বর চল্লিশ হাজার ও ১০ ডিসেম্বর পঞ্চাশ হাজার টাকা জমা করেন। এছাড়া গত ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ এ এক লক্ষ পনের হাজার টাকা জমা হয়েছে। যাহার রিসিভ নম্বর ৪০৪৩২৯২৬৪৩৫৫। সুমিত সাহা নাজ প্রোপারির্টিজ লিঃ, ব্র্যাক ব্যাংক লিঃ এ প্রতি মাসে টাকা জমা করে থাকেন।

উল্লেখ্য যে, গত ২৫ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে কাঠালিয়ার মেসার্স ত্বহা ব্রিকস ফিল্ডে এসিল্যান্ড সুমিত সাহা, তার অফিসের নাজির মাঈনুলসহ অন্যান্য কর্মচারী, পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্য নিয়ে অভিযান চালায়। এ সময় নানা অভিযোগ তুলে ইট ভাটার পার্টনার (মালিক) মোঃ শাহিন আকনের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ক্ষুদ্ধ হয়ে ভাটার মূল মালিক মোঃ এনামুল কবিরের শ্বশুর হাবিবুর রহমান ও কর্মচারী মফিজুলকে আটক করে কাঠালিয়া এসিল্যান্ড কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

পরে পার্টনার (মালিক) শাহিন আকন প্রথমে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা কাঠালিয়াস্থ এসিল্যান্ড সুমিত সাহার অফিসে গিয়ে তাকে দেন। টাকা কম হওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হন। পরে শাহিন বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে এসে মোট চার লক্ষ টাকা সুমিত সাহাকে পৌছে দেন, টাকা লেনদেনের সময় তার নাজির মাইনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। টাকা পাওয়ার পরে আটককৃত দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়। টাকার রশিদ চাওয়া হলে সুমিত সাহার স্বাক্ষরিত মামলার (নম্বর ০৫/২০২১ইং) আদেশে (ক্রমিক নং ৪৮০৮২৩) এর দুই লক্ষ টাকার একটি রশিদ ভাটার পার্টনার (মালিক) শাহিনকে দেয়া হয়। অন্য দুই লক্ষ টাকার কথা জানতে চাইলে তাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়।

Comments

comments