ঢাকাবুধবার , ৩ মার্চ ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে শৌচাগারের বেহাল দশা, বিড়ম্বনায় যাত্রীরা

প্রতিবেদক
Kolom 24
মার্চ ৩, ২০২১ ৮:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার যাত্রী। দিনরাতের বেশিরভাগ সময় যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকলেও স্টেশনটিতে আগতরা শৌচাগারের মতো অপরিহার্য সেবা পান না। স্টেশনের ৩টি শৌচাগারের মধ্যে ২টি প্রায়ই বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। বিশেষ করে নারী যাত্রীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীনে নথিভূক্ত কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন। গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহর হবার কারণে প্রতিনিয়ত এ স্টেশনে থাকে যাত্রীর চাপ। স্টেশন আঙিনায় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর বিশ্রামাগারে শৌচাগার রয়েছে এবং ইজারা দেয়া একটি পাবলিক টয়লেটও রয়েছে। কিন্তু প্রথম শ্রেণীর বিশ্রামাগারে শৌচাগারটি সাধারণ মানের হলেও বাকি দুইটি শৌচাগারের বেহাল অবস্থা। এতে একদিকে যাত্রীরা জরুরী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শৌচাগারের অভাবে স্টেশন আঙিনায় মলমূত্র ত্যাগ করায় দুর্গন্ধে অসহনীয় থাকে পরিবেশ। এর ফলে নাক চেপে ধরে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির মাসিক সভায় সভার সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক মোঃ সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এ বিষয়টি দেখার জন্য তখনকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাবিবুর রহমানকে দায়িত্ব দেন। তিনি রেলস্টেশন পরিদর্শন করে স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলামকে এসব শৌচাগার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে যাত্রী সাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অনুপোযোগী হয়ে আছে দুটি শৌচাগার।



কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টি এলাকার বাসিন্দা বাবু বলেন, কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনে যাত্রীদের নূন্যতম সুবিধা নেই। আমাদের যাদের বাড়ি স্টেশনের কাছে তারা বাড়ি থেকে প্রাকৃতিক কাজ সেরে বের হই। তবে যাদের বাড়ি দূরে তারা বিপদে পড়েন। যে পাবলিক টয়লেটটি রয়েছে সেটি ৩ বছরের অধিক সময় ধরে বন্ধ। আর দ্বিতীয় শ্রেণীর বিশ্রামাগারের টয়লেটটিতো সবসময় তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকে। স্টেশনের আশেপাশে ও আঙিনায় অনেকেই প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারেন। এতে স্টেশন এলাকার পরিবেশ প্রকট দুর্গন্ধে ভারী হয়ে আসে।

স্টেশনে অপেক্ষমান যাত্রী শহীদুল্লাহ, চপল, দীপা, সোমা, জাকিয়া, গোলাপ, নাজিম উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, এ স্টেশনের শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্টেশনে যাত্রীদের কথা বিবেচনা করা খুবই দরকার।



রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জয়নাল মিয়ার সাথে বুধবার বিকাল ৪টা ২৭ মিনিটে মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি সবকিছু পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আছে বলে জানান। কিন্তু সরজমিনে ঐদিন সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা যায় ২য় শ্রেণীর দুটি শৌচাগারের একটির বেহাল অবস্থা অন্য শৌচাগারটি মাগরিবের নামাজের আগে পরিস্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্টেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী।

কর্তব্যরত সহকারী স্টেশন মাস্টার পাপ্পুর মোবাইল ফোনে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোঃ জয়নাল মিয়াকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রথমে তিনি অসদাচরণ করলেও পরবর্তীতে তিনি ক্ষমা চান। তিনি জানান, কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের অধীনে কোন সুইপার ও আয়া নেই। আমরা জনবল সংকটে আছি।



Comments

comments