ঢাকারবিবার , ২৭ জুন ২০২১
  1. অন্যান্য
  2. আন্তর্জাতিক
  3. খেলাধুলা
  4. দেশজুড়ে
  5. পজিটিভ বাংলাদেশ
  6. ফটো গ্যালারি
  7. ফিচার
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও গ্যালারি
  10. সারাদেশ
  11. সাহিত্য
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নীল চুল্লির ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার আহ্বান

প্রতিবেদক
Kolom 24
জুন ২৭, ২০২১ ১০:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নীল চুল্লি কৃষক বিদ্রোহের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে। জানাতে হবে বৃটিশ বেনিয়াদের এদেশের কৃষকদের উপর চালানো বর্বরতা। তুলে ধরতে হবে অত্যাচার-নিপীড়নের ঘটনা।

রবিবার সকালে কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর গ্রামে দীপশিখা গ্রন্থাগার আন্দোলের উদ্যোগে নীল চুল্লির পাদদেশে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত বক্তারা নীলচাষ বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ঐতিহাসিক নীল চুল্লি সংরক্ষণের আহ্বান জানান।

পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আওতায় নীল চুল্লীটি সংরক্ষণের আহ্বান জানান। কেননা নীল বিদ্রোহের এই সমৃদ্ধ ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যোগাবে ও পরাধীনতার ভয়াবহতা উপলব্ধিতে সহায়তা করবে।

এতে দীপশিখা গ্রন্থাগার আন্দোলের সমন্বয়ক বদরুল আলম নাঈমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল।

নীল চুল্লির ওপর বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মাইনুল হক মেনু, চলচ্চিত্রকর্মী জিসান আজাদ, সাবেক ছাত্রনেতা হাদিউল ইসলাম রোকন, শিক্ষক আমান উল্লাহ, হোমিও চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান, ছাত্রনেতা সাকিবুল হাসান সোহাগ।

উপস্থিত ছিলেন রমজান, ইব্রাহিম, শাহজাহান, হাবিবুর রহমান, মঞ্জিল, দুলু মিয়া, মো. সোহেল, তাজুল ইসলাম, সেলিম, সাইফুল ইসলাম সুমন, নাদিম, সুজন মিয়া, আরিফুল হক সোহাগ, শাহজাহান, শাহীন, নজরুল, এমবি মুনাঈম, সোহেল, সুমন শাহীন, মাসুদ রানা, আল-আমিন, মাসুম, রিজন, রিয়ান, ইয়াকিন, রাব্বী প্রমূখ।

প্রসঙ্গত, বৃটিশ বেনিয়াদের জন্য এদেশের মাটি ও আবহাওয়া ছিল নীলচাষের জন্য আদর্শ। কিন্তু অলাভজনক এই নীলচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে উপমহাদেশের কৃষকরা। ঝুঁকতে থাকে ধান ও পাট চাষের দিকে। নীলকররা শুরু করে নির্মম অত্যাচার ও কঠোর নিপীড়ন। এ পরিস্থিতিতেই গড়ে উঠে নীলচাষ বিরোধী আন্দোলন। ধীরে ধীরে পুরো উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে নীল বিদ্রোহের আগুন! বিদ্রোহের মুখে এক পর্যায়ে বৃটিশরা নীলচাষকে গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়।

এছাড়া উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের রামদী গ্রামেও এক সময় নীল চুল্লি ছিলো। কালের আবর্তে এখন আর কোন স্মৃতি চিহ্ন নেই। বরং ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে।

Comments

comments