সরকারের বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মানুষ শিল্প-কারখানায় যোগ দিতে ঢাকায় ছু্টছেন। হঠাৎ করে শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমিকরা। এদিকে, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে রওনা হচ্ছেন মানুষ। আর এই সুযোগে সিএনজি, ট্রাকের চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল (১ আগস্ট) থেকে দেশের সকল শিল্প কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। এতে নিজেদের চাকরি বাঁচাতে ঢাকামুখী হচ্ছে শ্রমিকরা। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ চালু থাকায় সড়কে গণপরিবহন চলছে না। ফলে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। অনেকেই ট্রাক-সিএনজি দিয়ে কর্মস্থলে ছুটছেন। তবে কল-কারখানা মালিকদের এমন সিদ্ধান্ত অনুচিত বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।
-
গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া
-
সিএনজি-ট্রাকে যাত্রীর চাপ
-
করোনা সংক্রমণ উপেক্ষা করে গন্তব্যে ছুটছেন মানুষ
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখী মানুষ কর্মস্থলে যোগ দিতে পরিবহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছেন। তবুও অনেকেই পাচ্ছেন না কাঙ্খিত যানবাহন। কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। আবার অনেকেই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকেও কর্মস্থলে যেতে পারছেন না।
শ্রমিকরা জানায়, আগামীকাল থেকে অফিস করতে হবে এমন বার্তা দিয়েছে শিল্প-কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাই করোনা সংকটে নিজেদের চাকরি বাঁচাতে সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে কর্মস্থলে ছুটছেন। একদিকে হয়রানি, অন্যদিকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন তারা। সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হতে না পারলে চাকরি যাবার ভয়ে ঢাকামুখী শ্রমিকরা।
গার্মেন্টস কর্মী হেলেন আক্তার (২৯) জানান, ‘গতকাল ফোন এসেছে আগামীকাল অফিসে যোগ দিতে হবে। তাই অফিসের নির্দেশনা মানতে করোনা সংক্রমণ উপেক্ষা করেই কর্মস্থলে যাচ্ছি।’
কারখানার শ্রমিক সবুজ মিয়া (৩২) জানান, ‘চাকরি হারাবার ভয়ে ঢাকায় ছুটছি। তবে রাস্তায় কোনো যানবাহন না থাকায় আমরা অনেক ভোগান্তিতে পড়ছি। এতে করে আমাদের অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে।’
আরেক শ্রমিক আমেনা আক্তার (২৮) বলেন, পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে ঢাকায় কর্মস্থলে যাচ্ছি। কিন্তু যানবাহন না পাওয়ায় সিএনজি যোগে ৩’শ টাকার ভাড়া ১ হাজার টাকা দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, সরকার শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়ায় রাস্তায় ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে গিয়ে ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন শ্রমিকরা।
Comments
comments